দুর্গম ‘খামার বাঁশপাতা’য় গবাদিপশুতে টিকে থাকার স্বপ্ন
লোকালয় থেকে বহু দূরে, নদীর ধার ঘেঁষা বিস্তীর্ণ বালুর মাঠ জুড়ে, সন্ধ্যায় ভেসে আসে শেয়ালের হাঁক।
সেখানে গোধূলিতে শূন্য হয় মাঠ, সরু পথে পড়ে থাকে সহস্র পায়ের ছাপ, ভোরের আলোয় সেই পথে নামে জনস্রোত আর ব্রহ্মপুত্রের মাঝিদের হাঁকডাক।
নদী ঘেঁষা দুর্গম চরের ‘খামার বাঁশপাতা’ গ্রামের এই চিত্র যেন জীবনান্দ দাশের ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার বর্ণনার মত। সবুজ ফসলের মাঠ, কড়া রোদে জ্বলজ্বল করে টিনের চালার ঘর, লাগোয়া উঠোন, খড়ের গাদা ঘেঁষা মাচায় ঝোলা দু-চারটা লাউ-কুমড়া।
স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বেশ দূরে খামার বাঁশপাতায় দারিদ্র্যের ছাপ স্পষ্ট। গোছানো ঘর, আঙিনা আর চরের সবুজ মাঠে রাখালের দূরন্তপনার দৃশ্যেই মেলে তাদের জীবনযাপনের চিত্র। ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে লড়াই করে তারা টিকে আছে বছরের পর বছর।
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের চিলমারীর অষ্টমীর চর ইউনিয়নের একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম খামার বাঁশপাতা। বাদাম, সরিষা আর অল্পবিস্তার ধান চাষেই চলে এখানকার মানুষের জীবন।
তবে সময় বদলেছে; দুর্মূল্যের বাজারে বাড়তি আয় আর সঞ্চয়ের আশায় প্রতিটি পরিবারেই যোগ হয়েছে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি।