রোজ যাঁরা ঘরের কাজে শ্রম দেন, এই ঈদে তাঁদের জন্য কী করবেন
আপনি হয়তো বাড়ির বাইরে কাজ করেন। কিংবা পড়ালেখা করেন। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আপনি পেয়ে যান ‘রেডিমেড’ খাবার-দাবার। ঘরদোর পরিপাটি রাখতেও হয়তো আপনার তেমন কোনো ভূমিকা নেই। রসনা ও অন্দরটা বাড়ির ‘কেউ একজন’ সামলে রাখেন। গড়পড়তা বাঙালি পরিবারে এই ‘কেউ একজন’ যে ঠিক কে হতে পারেন, তা বোধ হয় বলে না দিলেও চলছে। পরিবারের মা কিংবা বউ পরিচয়ে যিনি রয়েছেন আপনার বাড়িতে, এই মানুষ তিনিই। তাঁর এই রোজকার কাজকে ‘কাজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতেই নারাজ, এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। এমনকি ওই মানুষকেই যদি জিজ্ঞেসা করা হয়, তিনি কী করেন, তাতেও বোধ হয় তিনি উত্তর দেবেন, ‘আমি কিছু করি না।’
মায়েরা-বউয়েরা অনেকে ঘরে ও ঘরের বাইরে দুই জায়গায়ই কাজ করেন। তাঁদের তাই ব্যক্তিজীবনে আলাদা একটা পরিচয় থাকে। পরিবারের গণ্ডির বাইরেও থাকে আলাদা একটা জগৎ। কিন্তু ‘আমি কিছু করি না’ দলের সদস্যদের অধিকাংশের জগৎজুড়ে থাকে কেবল পরিবারই। বিনা পারিশ্রমিকে তাঁরা উদয়াস্ত সংসারের জন্য খাটবেন, এ যেন ধরেই নেওয়া হয়। বাইরে কাজ করেন, কিংবা করেন না—এমন অনেক নারীরই বাড়ির কাজে ‘সাহায্যকারী’ থাকেন, কিন্তু ‘কাজ’টা শেষ পর্যন্ত সেই মায়েরই কিংবা বউয়েরই। অর্থাৎ দায়িত্বটা ‘সামলাতে’ হয় তাঁকেই। ঈদের সময় ‘সাহায্যকারী’ ছুটিতেও থাকতে পারেন। রান্নাবান্না, পরিবেশন, অতিথি আপ্যায়ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব দিকেই খেয়াল রাখেন মায়েরা-বউয়েরা।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- গৃহস্থালি কাজ