কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সেই ঈদ এই ঈদ

www.ajkerpatrika.com সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৬

অলস সময়ে আগে আমরা বই পড়তাম, টিভি দেখতাম, রেডিও শুনতাম, বাড়ির ছাদে কিংবা ফটকে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। আর এখন আমরা ‘ফেসবুকিং’ করি! ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন জি’ নামে যারা পরিচিত, তারা আবার ফেসবুক-টেসবুক বেশি চালায় না। বেশি চালায় ইনস্টাগ্রাম, সংক্ষেপে তারা বলে ‘ইনস্ট’। যাকগে, সবই তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। নাহ্, ফেসবুক-ইনস্টর কথা বলব না, সামনে ঈদ তো, ঈদের কথা বলাই বরং শ্রেয়। তবে ভূমিকায় এসবের কথা বলার কারণ আছে পরের কথায়। 


২. সেদিন অনর্থক ফোন গুঁতোগুঁতি করছিলাম। এই ফেসবুকিং আরকি! হঠাৎ সামনে এল একটা আবেগঘন ভিডিও। ছোট একটা বাচ্চা ছেলে রাস্তায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে। তার বাবা ঘরছাড়া, তাদের খেয়াল রাখে না। তার মায়ের বিয়ে হয়েছে অন্য কোথাও। সে থাকতে পারে না মায়ের কাছেও। যে দাদির কাছে থাকত, সেই দাদিও মারা গেছে। দাদির জন্য সে কুলখানি করবে। তাই কামাই রোজগারে নেমেছে। কাজ নিয়েছে হাওয়াই মিঠাই বিক্রির। মহাজনের বাড়িতেই আপাতত আশ্রয় হয়েছে তার। খানাপিনার বন্দোবস্ত সে বাড়িতেই। ভিডিও ধারণকারী তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তার ঈদের জামা কেনা হয়েছে কি না। তার জবাব ছিল, শুধু দাদির কুলখানির জন্যই সে টাকা জমাচ্ছে, ঈদের কাপড় কেনা হয়নি। তার কাছে তো এত টাকা নেই। সেই ভিডিওর মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝা গেল অনেকেই ছেলেটাকে সাহায্য করতে চাইছে। হয়তো এর মধ্যে করেও ফেলেছেন কেউ কেউ। মানুষের এমন আচরণে মন ভালো হয়ে যায়।


৩. অথচ পরদিনই পড়লাম একটা মন খারাপ করা খবর। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তাকে ‘মার্কেট’ থেকে ঈদের জামা না কিনে দেওয়ায়। বাড়িতে আসা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মা ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ায় অভিমান করেছে মেয়েটি। হয়তো তার মায়ের ওইটুকুই সামর্থ্য। আহা, সে যদি জানত আরেকটি শিশুকে ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ার মতো আপন বলে কেউ নেই, সে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে দাদির কুলখানির জন্য, নিজের প্রয়োজন মেটানো তার কাছে মুখ্য নয়! 


সেই ঈদ এই ঈদ


মনে পড়ে, মা-বাবা একটি জামা আর এক জোড়া জুতা কিনে আনতেন। ‘মার্কেট’ জিনিসটার সঙ্গে পরিচিত হতে বহু সময় লেগেছে। কখনোই মা-বাবার দেওয়া জামাকাপড় অপছন্দ হয়নি। ঈদের নতুন জামা মানেই সে কী আনন্দ! কখনো কখনো রোজার ঈদের জামা-জুতা দিয়েই কোরবানির ঈদ পার করে দিতাম আমরা।

সৈয়দা সাদিয়া শাহরীন
প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪০


https://www.ajkerpatrika.com/329918


শিশুদের বোঝাতে হবে যে বড়দের কেমন সামর্থ্য আছে ঈদ উপহার দেওয়ার। ছবি: আজকের পত্রিকাঅলস সময়ে আগে আমরা বই পড়তাম, টিভি দেখতাম, রেডিও শুনতাম, বাড়ির ছাদে কিংবা ফটকে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। আর এখন আমরা ‘ফেসবুকিং’ করি! ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন জি’ নামে যারা পরিচিত, তারা আবার ফেসবুক-টেসবুক বেশি চালায় না। বেশি চালায় ইনস্টাগ্রাম, সংক্ষেপে তারা বলে ‘ইনস্ট’। যাকগে, সবই তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। নাহ্, ফেসবুক-ইনস্টর কথা বলব না, সামনে ঈদ তো, ঈদের কথা বলাই বরং শ্রেয়। তবে ভূমিকায় এসবের কথা বলার কারণ আছে পরের কথায়। 



২. সেদিন অনর্থক ফোন গুঁতোগুঁতি করছিলাম। এই ফেসবুকিং আরকি! হঠাৎ সামনে এল একটা আবেগঘন ভিডিও। ছোট একটা বাচ্চা ছেলে রাস্তায় হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে। তার বাবা ঘরছাড়া, তাদের খেয়াল রাখে না। তার মায়ের বিয়ে হয়েছে অন্য কোথাও। সে থাকতে পারে না মায়ের কাছেও। যে দাদির কাছে থাকত, সেই দাদিও মারা গেছে। দাদির জন্য সে কুলখানি করবে। তাই কামাই রোজগারে নেমেছে। কাজ নিয়েছে হাওয়াই মিঠাই বিক্রির। মহাজনের বাড়িতেই আপাতত আশ্রয় হয়েছে তার। খানাপিনার বন্দোবস্ত সে বাড়িতেই। ভিডিও ধারণকারী তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, তার ঈদের জামা কেনা হয়েছে কি না। তার জবাব ছিল, শুধু দাদির কুলখানির জন্যই সে টাকা জমাচ্ছে, ঈদের কাপড় কেনা হয়নি। তার কাছে তো এত টাকা নেই। সেই ভিডিওর মন্তব্যগুলো পড়ে বোঝা গেল অনেকেই ছেলেটাকে সাহায্য করতে চাইছে। হয়তো এর মধ্যে করেও ফেলেছেন কেউ কেউ। মানুষের এমন আচরণে মন ভালো হয়ে যায়।



৩. অথচ পরদিনই পড়লাম একটা মন খারাপ করা খবর। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তাকে ‘মার্কেট’ থেকে ঈদের জামা না কিনে দেওয়ায়। বাড়িতে আসা ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মা ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ায় অভিমান করেছে মেয়েটি। হয়তো তার মায়ের ওইটুকুই সামর্থ্য। আহা, সে যদি জানত আরেকটি শিশুকে ঈদের কাপড় কিনে দেওয়ার মতো আপন বলে কেউ নেই, সে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করে দাদির কুলখানির জন্য, নিজের প্রয়োজন মেটানো তার কাছে মুখ্য নয়! 



৪. আরও একটা সংবাদ ক্লিপ দেখলাম। উঁহু, টিভিতে নয়, ফেসবুকে! মার্কেটের উপচে পড়া ভিড়ে কার কত বাজেট আছে কেনাকাটায়, সেই প্রশ্ন জনে জনে করছেন সাংবাদিক। ৫০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকার বেশি বাজেটধারীদের পাওয়া গেল ঈদের বাজারে। তালিকায় আছেন একটা কাপড় কেনার সামর্থ্যবান, একাধিক কাপড় কেনার সামর্থ্যবান লোকজন। একজন বললেন, ‘ইচ্ছা আছে আরেকটা জামা কেনার, আম্মু যদি দেয়...।’ 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও