
সীমান্তঘেঁষা মেঘালয়ের গ্রামগুলোতে যে কারণে উত্তেজনা
এসব অনেকেরই জানা, ইতিহাসে অন্তত দুবার মেঘালয় ও বাংলা একই ভৌগোলিক-রাজনৈতিক সীমানাভুক্ত ছিল। শেষবার সেটা ১৯০৫ থেকে ১৯১২ পর্যন্ত, ঢাকা যখন প্রদেশের প্রধান শহর আর শিলং গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। ১৯০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ববাংলা এবং মেঘালয়সহ আসামের আইনসভার প্রথম অধিবেশন বসেছিল শীতকালীন রাজধানী ঢাকাতেই।
এক শতাব্দী আগের সেসব ইতিহাস ব্যাপক পাল্টে গেছে। প্রতিবেশী হয়েও মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলার সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এখন সামান্য। সে কারণেই হয়তো আমরা খেয়াল করছি না বাংলাদেশ-সংলগ্ন মেঘালয়ের গ্রামগুলো এ মুহূর্তে বেশ অশান্ত। বিজেপি সরকার ২০১৯ সালে তৈরি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ বা ক্যা-১৯) কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই মেঘালয়ে অস্থিরতা শুরু হয়ে গেছে। যে অস্থিরতায় থেমে থেমে নাম আসছে বাংলারও।