কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে

যুগান্তর মুঈদ রহমান প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৩

আমাদের দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক সমস্যার কথা নিত্যদিনই গণমাধ্যমে উঠে আসছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো আমাদের চিন্তিত করে, আমাদের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করে; কিন্তু নীতিনির্ধাকরা ততটা আমলে নেন বলে দৃশ্যমান নয়। এর পেছনে কেউ কেউ বলছেন ওপর মহলের উদাসীনতা, আবার কেউ কেউ বলছেন সংশ্লিষ্টতা। সত্য যাই হোক, তাতে করে সংকটের মাত্রা কমে যাবে না। সংকট থেকে উত্তরণের প্রথম শর্ত হলো সংকটকে স্বীকৃতির মধ্যে আনা, সংকটকে আমলে আনা। সে কাজটায় আমাদের অনেকখানি অনীহা প্রকাশ পায়। আর সে কারণেই সংকটের সমাধান না হয়ে বরং দিনকে দিন তা গভীরতর হয়।


গত ২ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শিরোনামে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক আলোচনা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়েছে। অবশ্য এ চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্বব্যাংক বলার আগে থেকেই আমাদের গণমাধ্যমগুলোয় আলোচিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে তুলে ধরা চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, কম রাজস্ব আদায় এবং ব্যাপক খেলাপি ঋণসহ আর্থিক খাতের দুর্বলতা। এ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের বাইরে মোটা দাগে তিনটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ঝুঁকি তিনটি হলো-এক. মুদ্রা বিনিময় হারের ধীর সংস্কারের কারণে রিজার্ভে টান পড়ায় আমদানি সংকোচন করতে হতে পারে; দুই. বাজারে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকায় তা আরও বেড়ে যেতে পারে; তিন. সমন্বিত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা না হলে আর্থিক ঝুঁকি বাড়তে পারে।


বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সেই প্রবৃদ্ধির হার কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সংস্থাটি মনে করছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। যদিও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমাদের সরকার প্রবৃদ্ধির মাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে আগামী অর্থবছরে এ প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। সংস্থাটি প্রবৃদ্ধির এ নিম্নগতির পরও আশা ছেড়ে দেয়নি। তারা মনে করে, বিভিন্ন খাতগুলোতে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে প্রবৃদ্ধি তার পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, মুদ্রা বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পক্ষে মত দিয়েছে তারা। অন্যদিকে আর্থিক ও মুদ্রানীতিকে আরও কঠোর করতে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে ব্যাংক খাতের কার্যকর সংস্কার করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও