কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আবার কাছাকাছি বিএনপি-জামায়াত

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৩

কোনো ভূমিকা না করেই এটা বলা যায় যে বিএনপির মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামী নামের দলটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। জামায়াত ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে সক্রিয় ও উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সময়ে জামায়াতের সংগঠিত হওয়া, প্রকাশ্যে রাজনীতি করা, পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়া জামায়াত নেতা গোলাম আযমকে দেশে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়ার মতো সুদূরপ্রসারী ক্ষতিকর কাজগুলো করেছিলেন ক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সখ্যের বিষয়টি বহুল আলোচিত, এর রাজনৈতিক তাৎপর্য এখন সচেতন কারও অজানা নয়। জিয়াপত্নী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জামায়াতকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতারও অংশীদার করেছিলেন।


তবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে তেমন সফল হতে না পেরে বিএনপির মধ্যে দলের রাজনৈতিক কৌশল, জামায়াতের সঙ্গে দহরম-মহরম ইত্যাদি প্রসঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা শুরু হলে বিএনপি ও জামায়াত কিছু ছলনার আশ্রয় নিয়ে থাকে বলে অনেকে মনে করেন। সে জন্য গত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার শাস্তি হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সঙ্গে বিএনপির জোট বাঁধা নিয়ে নানা সময়ে লুকোচুরি করতে দেখা যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা জনগণ জামায়াতের সঙ্গে জোট বাঁধাকে ভালোভাবে না দেখায় সময়ে সময়ে সেই লুকোচুরির আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিএনপি।


বারবার লোকদেখানো দূরত্ব বজায় রেখে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কৌশল বিএনপি ’৯২ সাল থেকেই নিয়ে আসছে। কিন্তু ২০০১ সালে সেই যুদ্ধাপরাধীদের হাতে, গাড়িতে, বাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে বাংলার মানুষকে চরম অপমান করা হলো। তখনো দগদগে ঘা ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া মানুষের শরীরে। সে সময় এই অপমান সহ্য করতে হয়েছে। বিএনপি আর জামায়াতের অ্যাজেন্ডায় যে পার্থক্য নেই, তা তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সেটা হলো, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাতে হবে। জামায়াতের এই অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে বিএনপি। জামায়াত তাদের সঙ্গে দৃশ্যত থাকুক বা না থাকুক।


কৌশল যা-ই হোক না কেন, বাস্তবে সত্য এটাই যে বিএনপি কখনোই জামায়াত ছাড়া স্বস্তি বোধ করে না, আত্মবিশ্বাসী বোধ করে না। দ্বাদশ নির্বাচনের আগে তারা যে আন্দোলনে জামায়াতের সঙ্গে ছিল না, সেটাও একধরনের কেমোফ্লেজ। মানুষকে ভুল বোঝানো। একসঙ্গে না থাকার ভান করে তারা যুগপৎ ধারায় পাশাপাশি একই দিনে একই রকম কর্মসূচি দিচ্ছিল। এ সবই তাদের পরিকল্পনার অংশ। আর এখন যখন আবারও সংগঠিত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসছে, তখন আবারও তারা একসঙ্গে চলতে চাইছে। জামায়াতের ইফতার আয়োজনে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি এর প্রমাণ।  


পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ঢাকায় ১২ দলীয় জোটের এক ইফতারে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশ নিয়েছেন। জামায়াতের আমিরসহ বিরোধী অন্য দলগুলোর নেতারাও যোগ দেন এই ইফতার অনুষ্ঠানে। ৩০ মার্চ শনিবার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে রাজধানীতে এই ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও