সাদিকা কি বাবা হত্যার বিচার চেয়ে রাস্তায় নামা সর্বকনিষ্ঠ মানুষ?

প্রথম আলো শেখ সাবিহা আলম প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩১

সরকার কে ভাই? কাকে বলে সরকার? যেদিকে চোখ যায়, আমি তো কেবল সরকারই দেখি। সরকারি দালানকোঠা, সরকারি গাড়ি, সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন। সরকার আর সরকার। ৪৫টি মন্ত্রণালয়, কাঁড়িখানেক বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর কত শাখা-প্রশাখা। সেখানে কর্মরত সবাই সরকার।


সরকারের কাজ হলো জনস্বার্থে কাজ করা, আইন প্রয়োগ করা। যদি তা-ই হয়, তাহলে বন বিভাগের কর্মীদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে কেন? তাঁদের কেন এখন চিৎকার করে সহকর্মী হত্যার বিচার চাইতে হচ্ছে? কারণ কি এটাই যে সরকারের বাইরে আরেকটা শক্তিশালী সরকার আছে? যাদের আমি-আপনি সবাই চিনি-জানি? কিন্তু সরকার চিনেও না চেনার ভান করে তাদের সুরক্ষা দেয়!


বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মানববন্ধন করেছেন। কারণ, তাঁদের সহকর্মী কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান খুন হয়েছেন।


প্রথম আলোর খবর বলছে, বনের ভেতর সরকারি পাহাড় কেটে দুর্বৃত্তরা মাটি নিয়ে যাচ্ছে, এই খবর পেয়ে গত রোববার রাত সোয়া তিনটার দিকে টহল দলের সদস্য আলী আহমদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজাপালং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম হরিণমারার লালুর বাপেরটেক এলাকায় যান সাজ্জাদুজ্জামান। দুর্বৃত্তদের ডাম্পারের ধাক্কায় প্রথমে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পরে তাঁর মাথার ওপর দিয়ে ডাম্পার চালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।


সাজ্জাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, গত মার্চে সাজ্জাদুজ্জামান পাহাড়খেকো ও বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি পৃথক তিনটি মামলা করেছিলেন। তাঁকে নিশানা করে হত্যা করা হয়েছে।


কারা হত্যা করেছে সাজ্জাদকে? দশজনের নাম উল্লেখ করে গাজী শফিউল আলম মামলা করেছেন। তবে এখনো জানা যায়নি, এই নামগুলো যাঁদের, সেই নামের ওজন আসলে কত বেশি? তাঁরা কি সেই গোত্রের, যাদের সরকার চিনেও না চেনার ভান করে?


সরকার তো বনখেকো, পাহাড়খেকোদের চেনে। বন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য হলো, বনের জমি জবরদখল করে স্থায়ী স্থাপনাসহ প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা তৈরি করেছেন ১৭২ জন। তাঁরা দখল করেছেন ৮২০ দশমিক ৩৪ একর জমি। মানে তাঁরা হলেন শিল্পপতি, কারখানা মালিক।


ছোট বাজার, দোকানপাট, রিসোর্ট, কটেজ, কৃষি খামার তৈরি করে বনের জমি জবরদখল করেছেন ৩ হাজার ৩২৯ জন। রিসোর্ট-কটেজ কারা বানাচ্ছেন? ব্যক্তিমালিকানাধীন ঘর-বাড়ি, বসতভিটা করে বনের জমি জবরদখল করেছেন ৫৮ হাজার ৪০৭ জন। কৃষিজমি, চারণভূমি, বাগান, লবণ চাষ করে জমি জবরদখল করেছেন ২৬ হাজার ৩০৭ জন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও