বুয়েটে ছাত্রলীগের ‘নিশি’ অভিযান কেন?

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৪

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে একটানা ১৫ বছরেরও বেশি। দলটির ঘোষিত নীতি হলো, মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’। সরকারের দাবি, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল  করা হয়েছে।


কিন্তু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের বক্তৃতা বিবৃতিতে মনে হচ্ছে, সেই ‘নির্মূল হওয়া’ মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে) আস্তানা গেড়েছে! আর তাদের আস্তান ভেঙে দিতেই ছাত্রলীগকে সেখানে ‘নিশি’ অভিযান চালাতে হয়েছে।


ছাত্রলীগ যখন বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানিয়েছে, তখন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির হাল কি? প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিরোধী ছাত্র সংগঠন বিতাড়িত। সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটিই সবখানে একক দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে। বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা–কর্মীদের পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।


গত বছর ১৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়ার পরদিন ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আহত দুই নেতা হলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ।


ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় বুয়েট পরিস্থিতি এখন থমথমে। রোববার সাধারণ শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত সমাবেশ করেনি। এটা কি শান্তির লক্ষণ না ঝড়ের পূর্বাভাস?


পত্রিকার খবর অনুযায়ী,  ‘বুধবার রাত দেড়টায় বুয়েটের মূল ফটক দিয়ে মোটরসাইকেল ও গাড়ি নিয়ে ছাত্রলীগের অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন। তাঁরা ক্যাফেটেরিয়ার সেমিনার কক্ষে বৈঠক করেন, সেখানে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল। মোটরসাইকেল, গাড়ি নিয়ে দীর্ঘসময় ক্যাম্পাসে ‘শোডাউন’ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনও সেই ‘অভিযানে’ ছিলেন।’


এই অভিযানের পর বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। তারা শুক্র ও শনিবার ক্যাম্পাসে সমাবেশ করে পাঁচ দফা দাবির কথা বলেছেন। দুই দিনের পরীক্ষা বর্জন করেছে। বলা যায়, ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের যাওয়া নিয়ে বুয়েটে অচলাবস্থা চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও