কর্ণফুলীর নদীর চরে কেন বর্জ্য শোধনাগার?

প্রথম আলো ওমর কায়সার প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৭

কর্ণফুলী নদীতে জেগে ওঠা চরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে চট্টগ্রামের সচেতন মানুষের মনে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনুকূলে খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্ত প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে নানা রকম দূষণে এবং দখলে রুগ্ণ কর্ণফুলীর কফিনে শেষ পেরেকটি টোকার মতোই অবস্থা হবে।


চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলাধীন চর বাকলিয়া মৌজার ৩৫ একর জমিতে বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনাটা চট্টগ্রামের কর্ণফুলীকে ধ্বংস করে দেবে। দেশের বৃহত্তম বন্দরকে ঘিরে সারা বছরের প্রতিটি ক্ষণ যে বিশাল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তার মূল ভিত্তি হচ্ছে কর্ণফুলী নদী।


কারণ এই নদীর মোহনার কাছেই চট্টগ্রাম বন্দর। কর্ণফুলীকে এই জন্যই দেশের প্রাণপ্রবাহও বলা হয়ে থাকে। বর্জ্য শোধনাগার স্থাপিত হলে এই প্রাণপ্রবাহ থেমে যাবে। দেশে অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। পরিবেশ ধ্বংস হবে। জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। কর্ণফুলীর দুই তীরে বিস্তীর্ণ জনপদের জনজীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।


এই কারণেই পরিকল্পনাটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পরিবেশ আন্দোলন কর্মীরা। পরিবেশে ক্ষতিকারক এমন স্থাপনা নির্মাণ পরিকল্পনা বাতিলের জন্য যে কোনো কঠিন আন্দোলনে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে ‘কর্ণফুলী রক্ষায় জনগণের প্রতিবাদ মঞ্চ’।


চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশন, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন মিলে ছয়টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এই মোর্চা যেখানে এই স্থাপনা গড়ার পরিকল্পনা চলছে, সেই কর্ণফুলীর চরে গিয়ে সমাবেশ করেছে এবং সংবাদ সম্মেলনও করেছে।


সমাবেশে তারা যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন নদীর মাঝখানে বর্জ্য শোধনাগার হলে পরিবেশের কী মারাত্মক ক্ষতি হবে। তারপরও সেখানে ভূমি নিরীক্ষার কাজ করছে চীন দেশের একটি প্রকৌশল কোম্পানি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও