বিশাল অর্থনৈতিক চাপ বহন করতে পারবো তো?
গলার রগ আর গাল ফুলিয়ে যে সরকারের মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকরা বলেন শেখ হাসিনাই কেবল পারেন দেশের উন্নয়নের নিখিল তৈরি করতে- তারা কতটা সত্য বলেন আর কতটা মিথ্যা সেখানে যুক্ত আছে, সেই তলটা আমরা খুঁজে দেখি না। কারণ, আমরা নেতা-নেত্রীদের কথাই বিশ্বাস করি। তারা তো সত্য বলেছেন।
যা কিছু উন্নয়নের শির দেখা যায়- এই যেমন পদ্মা সেতু,তার সঙ্গে রেললাইন সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নতুন করে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু,কক্সবাজারের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা কক্সবাজার রেলওয়ে, বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস হাইওয়ে, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ সড়কপথ নির্মাণ, কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর আমাদের দেশে তো রফতানিযোগ্য বিদ্যুতের পরিমাণ ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ( তবে ভাড়া বা রেন্টাল কেন্দ্রগুলো এ হিসাবের বাইরে),পাবনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, বিআরটি এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল- একটার পর একটা উন্নয়নের যজ্ঞ তো শেখ হাসিনার সরকারই করতে পারে, আর কোনো সরকারের পক্ষে তো এ-রকম উন্নয়নের নজির নেই। এসবই সত্য, চরম সত্য বলে যাকে আমরা মার্কা দিই, এ হচ্ছে তাই।
এই উন্নয়নের ধাক্কায় ঢাকার বায়ু কেবল ধূলিসাৎই হয়নি, পৃথিবীর মধ্যে এখন দূষণে এক নম্বরে চড়ে বসেছে। সেখান থেকে যে নিচের দিকে নেমে আসবে, সে উপায় নেই। কারণ দেশে তো চলছে উন্নয়ন কাটাছেঁড়া, ধুলাবালি, কেমিক্যাল পার্টিকেলসের অতি সূক্ষ্ম উপাদান, যা আমাদের উন্নয়নে বিভোর হার্টের ও ফুসফুসের ছিদ্রগুলো সিল মেরে দেওয়ার জোগাড় হয়েছে।
উন্নতি চাইলে তো কিছু ড্র-ব্যাক আছেই, সে কারণেই চরম দুর্ভোগ তো পোহাতেই পারি আমরা। মন্ত্রীরাও তো এই ধুলাসমৃদ্ধ মহানগরেরই বাসিন্দা। তারা তো টুঁ-শব্দ করেন না। না, মাঝে মাঝে করেন। এই যেমন ২১ মার্চ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কারও প্রশ্নের জবাবে বললেন আমি তো মন্ত্রী, বাসে তো রং করতে পারি না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- অর্থনৈতিক মন্দা
- বিদেশি ঋণ