মই দিয়ে রবিউল কেন শর্টকাটে ‘ধনী’ হতে চাইবে না?

প্রথম আলো শেখ সাবিহা আলম প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

ভাইরালের এই দুনিয়ায় কপাল পুড়েছে রবিউলের। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মই পেতে ৫ টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের সড়ক বিভাজক পার করছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। মই হাতে রবিউলকে মাঝখানে রেখে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পুলিশ ছবি তুলে সংবাদপত্রগুলোকে সরবরাহ করেছে। এই তৎপরতার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ। এভাবে মহাসড়ক পার হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।


যদিও সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর পড়ে মনে হচ্ছে ‘ডাল মে অর কুছ কালা’ আছে। যেমন দূরপাল্লার বাসগুলো আঞ্চলিক সড়কের বদলে যাত্রী নামাচ্ছে মহাসড়কের মাঝখানে। আর চার ফুট উচ্চতার সড়ক বিভাজকের অপর পাশে আঞ্চলিক সড়ক। আগে আঞ্চলিক সড়কে ওঠার জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) একটা দরজা রেখেছিল। যাত্রীরা দরজা পেরিয়ে আঞ্চলিক সড়কে গিয়ে উঠত। সেই দরজা কয়েক মাস ধরে বন্ধ।


তবে  রবিউল গ্রেপ্তারের পর ‘ডাল মে’ আরও যত ‘কালা’ আছে, তার সবই মনের মধ্যে উজিয়ে উঠল। ‘সেতু আছে রাস্তা নেই’ লিখে গুগলে একটা সার্চ দিলে আপনার দশাও হবে আমার মতো। এর মধ্যে সর্বসাম্প্রতিক খবরটি ছেপেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। কাঠ ও বাঁশের মই দিয়ে মুন্সিগঞ্জের চর কেওয়ার ইউনিয়নে সেতু পার হতে হচ্ছে। ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণকাজ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) শেষ করার কথা। শেষ হয়নি।


কৃষিপ্রধান এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা কৃষিপণ্য নিতে সমস্যায় পড়েছেন। বয়স্ক মানুষ, সন্তানসম্ভবা নারী, শিশুদের অবস্থা আরও করুণ। এলজিইডি নাকি চার মাস ধরে সেতুর ঠিকাদারকেই খুঁজে পাচ্ছে না। আচ্ছা, এলজিইডি কেন পুলিশের সাহায্য নেয় না? ক্লু লেস কতশত খুনি-ডাকাত তারা ধরে ফেলল, আর ঠিকাদারকে খুঁজে বের করা তো কোনো বিষয়ই না। অবশ্য এ দেশে টাকা যার যত বেশি, আইনের সুরক্ষাও তার বেশি।  


সে যাক। রবিউলের হঠাৎ শর্টকাটে ধনী হওয়ার খায়েশ হলো কেন? প্রশ্নটা বোধ হয় আরেকটু ঘুরিয়েও করা যায়। রবিউলের শর্টকাটে ধনী হওয়ার খায়েশ হবে না কেন? গোটা দেশই তো শর্টকাটে চলছে। ব্যাংক ফাঁকা করে দিয়ে শর্টকাটে হরদম লোকে ধনী হচ্ছে। ই-কমার্সের নামে ই-ভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমাসহ কত লোকের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলো। পাওয়ার কাপল হিসেবে তাঁদের নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন হলো, তাঁরা এখানে–ওখানে টাকা দিয়ে বেড়ালেন, তাঁদের টাকায় সরকারি সংস্থা সিনেমা বানাল।


সব পণ্যের মৌসুমি সিন্ডিকেট আছে। তাদেরও বেশুমার টাকা। ডিম-মুরগি- গরুর স্থায়ী সিন্ডিকেট। রোজার দিনে খেজুরের, বেগুনের অস্থায়ী সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট পার্টি খুবই শক্তিশালী। তাঁরা ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজির এলাচি ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করলেও তাঁদের কেশাগ্র ছোঁয়ার ক্ষমতা কারও নেই। কারণ, তাঁরাই দেশের হর্তা–কর্তা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও