ঢাকা কি টেকসই শহর?

সমকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন ইকরাম কবীর প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪

একসময় ঢাকা শহরকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে বিশেষায়িত করা হয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে। তিলোত্তমা অর্থ অপ্সরা। তখন ‘তিলোত্তমা’ শব্দটি মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকার প্রতি সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ এই বিশেষণের পর অনেক বেড়েছিল। মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় এসে বসবাসের প্রবণতাও বেড়েছিল। 


ঢাকা তিলোত্তমা নগরী আখ্যায়িত হওয়ার প্রায় এক দশক আগেই চলচ্চিত্রের একটি গান সবার মন কেড়েছিল– ‘ঢাকা শহর আইসা আমার আশা পুরাইছে/ লাল-লাল নীল-নীল বাত্তি দেইখা নয়ন জুড়াইছে’। মনে রাখতে হবে, সেই সময় দেশের বেশির ভাগ জেলা শহর এবং গ্রামে বৈদ্যুতিক বাতি ছিল অপ্রতুলতা। তাই আমরা সবাই বাতির দিকে ছুটে এসেছি।


ঢাকা শহরকে দেশের মানুষের কাছে ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এই দুই উদাহরণ সম্ভবত সর্বসাম্প্রতিক। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি এই ব্র্যান্ডিং জেনে-বুঝে করেছিলাম? নাকি ঢাকাকে দিল্লির মসনদের মতো সবকিছুর কেন্দ্রে পরিণত করে দেশবাসীকে খুশি করতে চেয়েছিলাম? যদি তা-ই করে থাকি, তাহলে দেশের অন্যান্য স্থানকে কম গুরুত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে ভুল হয়েছিল। ঢাকাকে একমাত্র কেন্দ্ররূপে ব্র্যান্ডিং করার কারণেই দেশের মানুষ ঢাকামুখী এবং বাড়তে বাড়তে পরিস্থিতি এমন হয়েছে, এই শহর টিকে থাকবে কিনা– তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


স্বীকার করতে হবে, মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যাই ঢাকার স্থায়িত্বের মূল চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরে এমনিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা আবাসন, স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতি সমস্যাকে আরও তীব্র করে তুলেছে। শহরের অবকাঠামো ও সম্পদে অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করেছে। এই জনঘনত্ব এক অস্বাভাবিক ডমিনো প্রভাব তৈরি করেছে। জনসেবা করে ফেলেছে অপর্যাপ্ত। 


ঢাকার কুখ্যাত যানজট শহরের অবকাঠামো ধসে পড়ারই প্রতিফলন। এই যানজট বাসিন্দাদের জন্য প্রতিদিনের বাস্তবতা হতে পারে; কিন্তু তা বায়ুদূষণ বাড়ানো থেকে সময় ও বেশি জ্বালানি খরচে আমাদের বাধ্য করছে। আমাদের কোনো কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা নেই। ফলে ছোট ও ব্যক্তিগত যানবাহনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা আমাদের পরিবেশগত স্থায়িত্বের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে গেছে।


ঘন ট্রাফিক ও আবাসন শিল্পের কারণে ঢাকার বাতাস নিরাপদ সীমার চেয়ে বেশি দূষিত বলে প্রায়ই খবরে প্রকাশ। এই বিষাক্ত বাতাস বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে এবং শহরের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির গল্পই বলে। সবাই অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা পাওয়া যাবে কেমন করে?


ঢাকার সুপেয় পানির সমস্যা এবং নদীদূষণের কথা সবাই জানি। শিল্প ও মানব বর্জ্য– দুটোই নদীতে যায়। সেই নদীর কিছু পানি আমরা পরিশোধন করি পান করার জন্য। কিন্তু কতটা করতে পারি বা করতে চাই, সেই বিষয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও