এখন বরইয়ের দামও তো বেড়ে যাবে!
দোরগোড়ায় রমজান। চারদিকে রোজার নানা প্রস্তুতি। এক সময় রোজার আগে আমাদের মা-বোনরা ঘরবাড়ি ঝাড়ামোছা করত। জায়নামাজ, পোশাকাদি, বিছানার চাদর ইত্যাদি ধুয়ে-মুছে রোজার প্রস্তুতি নিত। সেহরি-ইফতার নিয়ে কখনোই তাদের বিশেষ প্রস্তুতি ছিল না। কারণ, সে সামর্থ্যই ছিল না। আমি গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। ছোলা-মুড়ি আর কদাচিৎ গুড়ের শরবত দিয়ে ইফতার করতাম। ইফতারে খেজুরের দেখা খুব কমই পেতাম। পেলেও বাজারের সবচেয়ে নিম্নমানের খেজুর হয়তো কখনো কখনো জুটত।
গ্রাম বা শহরের সেই নিম্নবিত্তদের ইফতার আজও আগের মতোই আছে। সমাজের একটি শ্রেণির ধনৈশ্বর্য বেড়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু গরিব আরও গরিব হয়েছে। ফলে গরিবের ইফতারে আজও খেজুর জোটে না। উপরন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে এবার খেজুরের বদলে তাদের বরই ধরিয়ে দেওয়া হলো।