বিপজ্জনক নগরীতে আমাদের বাস, করণীয় কী?

ঢাকা পোষ্ট ইকবাল হাবিব প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:০৮

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণের প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)-১১ অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাত সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার কথা বলেছে। কিন্তু আজও কি আমরা একটি নিরাপদ এবং অভিঘাত সহনশীল নগরী গড়ে তুলতে পেরেছি?


রাজধানী ঢাকাসহ গোটা বাংলাদেশের নগরগুলোয় ঘটিত অগ্নি দুর্যোগ আজ বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অনুমতি ও প্রত্যয়নপত্রের ঘাটতি উদ্ঘাটন সরকারি তদারকিতে গাফিলতিরই সমার্থক।


২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ ঘটে যাওয়া বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড তারই বার্তাবাহক। আইনানুযায়ী, কোনো ভবনে রেস্তোরাঁ স্থাপনে সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রায় ১০টি প্রত্যয়নপত্র বা সনদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সনদগুলো যথাযথভাবে প্রদান, পরবর্তী পরিচালনায় তার ব্যত্যয় এবং এই সনদগুলো ছাড়াই বিভিন্ন পরিষেবার সংস্থান হয়েছে কি না তা দেখার দায়িত্ব যেন কারও নেই।


সর্বোপরি, ভবন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদেরও এই বিষয়ে কোনো দায় নেই। ফলে, দুর্ঘটনার পর অনুমোদন ও তদারকির দায়িত্বে থাকা সংস্থা সমূহ পরস্পরের ওপর দায় চাপানোর মধ্য দিয়ে দায়মুক্তির একটি ধারা তৈরি করেছে।


শুধুমাত্র নোটিশ দিয়ে ও ‘অনুমোদন নেই’ বলে দায় এড়ানোর ফলশ্রুতিতেই নগরজুড়ে একের পর এক মৃত্যুকূপ তৈরি হয়েছে এবং প্রতি বছর আত্মাহুতি দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। 


ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) এবং অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩-এ বহুতল ভবনের উচ্চতা এবং ভবনের শ্রেণিবিভাগজনিত অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান। ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় (২০০৮) রেস্তোরাঁ ব্যবহারের আলাদা ধরণ চিহ্নিত নেই এবং বিএনবিসি (২০২০)-তে জনসমাগম ঘটে এমন স্থান, বিপদজনক ব্যবহার এবং বাণিজ্যিক রান্নাঘরকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করে ফায়ার ইনডেক্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


যদিও বর্তমানে, ভবনের শ্রেণিবিভাগজনিত এইসব অসামঞ্জস্যতা নিরসন করা এবং বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ (ড্যাপ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় অনুমোদনহীন/ইমারতের বিচ্যুতি/ব্যত্যয় সংক্রান্ত ইমারত-এর ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিমালা’ প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও