নারীর প্রতিবন্ধকতা, নারীর পদযাত্রা

ঢাকা পোষ্ট নাসিমা আক্তার নিশা প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:১৫

বাংলায় প্রবাদ আছে ‘বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ এই ডিজিটাল যুগে নারীরা কোনোভাবে পিছিয়ে নেই। পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে তারাও বিভিন্নভাবে সফলতা অর্জন করছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন।


অন্যান্য প্রতিবন্ধকতার মধ্যে অন্যতম শিক্ষার অভাবে তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন না। ক্ষমতায়নের জন্য এটা বড় প্রতিবন্ধকতা। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সমাজের চোখে স্বাভাবিকভাবে গৃহীত হয় না। শিক্ষা বা আত্মবিশ্বাস কম থাকায় নারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। নারীর সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাপক হারে নারীর রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। তবেই তারা শুধু নারীদের উন্নয়ন নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।


তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় নারীর ক্ষমতায়ন সন্তোষজনক নয়। নারীর প্রতি সনাতন দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষা ক্ষেত্রে অসহযোগিতা, অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও আইনি পদক্ষেপ, সংকীর্ণ চিন্তা-চেতনা ক্ষমতায়নের পথে অন্তরায়। এখনো অনেক পরিবারে নারীকে তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হয়। নারী নিজ পরিবারে কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হয়।


বর্তমানে মেয়েদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই নিজের একটি ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে অনেক নারীই হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। নারীর ক্ষমতায়নের আরেক প্রতিবন্ধকতা প্রচারমাধ্যমে তাদের স্বল্প ও নেতিবাচক উপস্থাপন। একজন নারী যখন প্রতিনিয়ত এই ধরনের প্রচারণার সামনে পড়েন, তখন নিজেকে অন্যদের তুলনায় হেয় ভাবতে শুরু করেন, যা তার ভবিষ্যৎ বিকাশের প্রধান বাধা।


ক্ষমতায়ন হচ্ছে মানুষের বস্তুগত, দৈহিক, মানবিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের ওপর আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, যার সঙ্গে দক্ষতার প্রশ্নটি জড়িত। কাজেই নারীর ক্ষমতায়ন বলতে এমন একধরনের অবস্থাকে বোঝায়, যে অবস্থায় নারী তার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীন ও মর্যাদাকর অবস্থায় উন্নীত হতে পারে।


এটি একটি প্রক্রিয়া, যার মানে হলো একদিনে হঠাৎ করে কারও ক্ষমতায়িত হয়ে ওঠার সুযোগ নেই। এজন্য দীর্ঘ ও অব্যাহত উদ্যোগ দরকার হয়। নারীর ক্ষমতায়নের আওতাকে প্রধানত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক—এই তিন ভাগে দেখানো হয়। এই সময়ে পরিবর্তন এসেছে নারীর অবস্থা ও অবস্থানেও।


বর্তমানে সমাজের প্রায় সব খাতেই নারীর অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হচ্ছে। শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের উপস্থিতি এখন শতভাগ। পোশাক শিল্পের কৃতিত্বের সিংহভাগই নারীর। সফল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বড় অংশই নারী। পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে সরকারি-বেসরকারি ও আধাসরকারি অফিস-আদালত, কলকারখানা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মতো আনুষ্ঠানিক কর্মস্থলেও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও