ইউক্রেনে পশ্চিমা শক্তির বিপর্যয়ের কারণ

সমকাল ইউক্রেন ড. মঞ্জুরে খোদা প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭

ইউক্রেন অভিযান শুরুর এক পর্যায়ে রাশিয়া কিছুটা বেকায়দায় থাকলেও, এখন তারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে ইউক্রেনের আরও ভেতরে অগ্রসর হচ্ছে। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকা দখলের পর পুতিনের ঘনিষ্ঠজন ও রুশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মেদভেদেভ বলেছেন, তারা কিয়েভ দখলের লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন।  


যুদ্ধে ইউক্রেনের ক্রমাগত পিছু হটার প্রেক্ষাপটে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউরোপের ২৬টি দেশের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্যারিসে। সেখানে ইউক্রেনের পরাজয় ঠেকাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এই সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও অন্যান্য দেশ তা নাকচ করে দেয়। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাখোঁ বলেন, সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা তিনি পুরোপুরি নাকচ করে দেননি। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়াকে কোনোভাবেই ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে দেওয়া যাবে না।’ বৈঠকে এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৯ ফেব্রুয়ারি বলেন, ন্যাটো বা ইউরোপের কোনো দেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর স্পর্ধা দেখায়, তাদের চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। মার্চে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘মস্কোর কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্রগুলো যে কোনো সময় পশ্চিমা দেশগুলোয় আঘাত হানতে সক্ষম।’ তাঁর এ ভাষণের পর বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। 


এই যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু নিজেদের সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। জার্মান সেনা কর্মকর্তাদের ৩৮ মিনিটের অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে উত্থাপিত রাশিয়ার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। এতে পশ্চিমা শক্তি বেকায়দায় পড়ে যায়। কেননা, রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সংযোগ কার্চ সেতু আক্রমণে ব্রিটিশ সৈন্যরা সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করেছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো জোটবদ্ধ হয়ে রাশিয়াকে পরাস্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 


এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশাপাশি রাশিয়ারও লক্ষাধিক সৈন্য হতাহত হয়েছে। উপরন্তু রাশিয়াকে একঘরে করা, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা, পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যায় এমন কোনো চেষ্টা নেই, যা পশ্চিমা শক্তি করেনি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক বাণিজ্যিক অবরোধের ফলও হয়েছে বিপরীত। যুদ্ধের সময় ২০২৩ সালে মধ্য এশিয়ার জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ৫ শতাংশ। তাদের এই ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি হয়েছে রাশিয়ার মধ্য এশিয়া নীতির কারণে। পশ্চিমা দেশগুলোও সেখানে তাদের তৎপরতা চালিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া যেভাবে তাদের বিনিয়োগ, বাণিজ্য, জ্বালানি, নিরাপত্তা সুবিধা দিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষায় উন্নয়নের অংশীদার হয়েছে, পশ্চিমারা সেটা করতে পারেনি। ইউরোপের বাজার বন্ধ হলেও রাশিয়া রাতারাতি ছাড়কৃত মূল্যে চীন, ভারত, ব্রাজিলের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করে সংকট পুষিয়ে নিয়েছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও