শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের পথ কী

প্রথম আলো তাসলিমা ইয়াসমীন প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৩

যৌন হয়রানি নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক কথা বলা হলেও এখনো যৌন হয়রানি আসলে কী, সে ধারণা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। ভুক্তভোগী থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অনেক সময় শুধুমাত্র শারীরিকভাবে কেউ লাঞ্ছনার শিকার হলে বা হয়রানির মাত্রা খুব গুরুতর হলেই মনে করেন যে ভুক্তভোগীরা প্রতিকার চাইতে পারে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে এর ধারণাটি স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।


জাতিসংঘসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের আইনে বর্তমানে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এ অপরাধকে, তার একটা সোজাসুজি বাংলা দাঁড়াবে—এমন সব অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক, মৌখিক, অমৌখিক বা অন্য কোনো যৌন প্রকৃতিবিশিষ্ট বা লিঙ্গভিত্তিক আচরণ, যা কোনো ব্যক্তির জন্য অনিরাপদমূলক, হুমকিস্বরূপ, অস্বস্তিকর, অপরাধমূলক, বিব্রতকর অথবা অপমানজনক বলে যুক্তিসংগতভাবে প্রতীয়মান হয়। যৌন হয়রানিমূলক আচরণের মূল উপাদানটি হলো, যে ব্যক্তির প্রতি এই আচরণ করা হয়েছে, তার কাছে আচরণটি অনাকাঙ্ক্ষিত বা অনভিপ্রেত। 


এ সংজ্ঞা এখনো বাংলাদেশের প্রচলিত কোনো আইনে কিন্তু অন্তর্ভুক্ত হয়নি। একটিমাত্র আইন, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক, তা হলো ২০০৯ সালের উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনা, যেখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ও প্রতিকারমূলক বিষয়ে আদালত নির্দেশনা জারি করেছেন।


২০০৯ সালের এই নির্দেশে কিন্তু বাংলাদেশের আইনি কাঠামোয় কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়ে যে কোনো আইন নেই, তারও উল্লেখ রয়েছে। সেই সূত্রে আদালত নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন এবং নতুন আইন না আসা পর্যন্ত এই নির্দেশনাই আইন হিসেবে বাধ্যতামূলক হবে বলা হয়েছে। 


কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০০৯ সাল থেকে এখন এই ২০২৪ সালে এসেও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোনো আইন পাস হয়নি। প্রচলিত আইনগুলোতেও যৌন হয়রানিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।


শুধু ২০২২ সালে শ্রম আইনের বিধিমালায় একটি সংশোধনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আদলে একটি নতুন বিধি যুক্ত হয়েছে। কিন্তু তাতেও আদালতের নির্দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো বাদ দিয়ে একটি সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শুধু। 


২০০৯ সালের নির্দেশনাটি একমাত্র আইনি ভিত্তি হলেও যৌন হয়রানির সংজ্ঞাটি কিন্তু নির্দেশনাটিতে পুরোপুরি স্পষ্ট নয়—মূলত সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে যৌন হয়রানিমূলক কাজের কিছু উদাহরণ দেওয়ার মাধ্যমে।


বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বাদ পড়েছে, যেমন কখন একটি অভিযোগ কমিটির মেয়াদ শেষ হবে বা অভিযোগের তদন্তগুলো কারা করবে ইত্যাদি। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের যদি নিজস্ব যৌন হয়রানি-সংক্রান্ত নীতিমালা না থাকে, তবে শুধু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মেনে অভিযোগের সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করা দুরূহ হয়ে পড়ে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও