বিয়ের পর তো বদলে গেছ—এই কথা কি আপনাকেও শুনতে হয়?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৫

পুরুষ হোক বা নারী, বিয়ের পর একটা কথা শুনতেই হয়—ও তো আর আগের মতো নেই। কী এমন ঘটে যে ব্যাচেলর থেকে বিবাহিত তকমা লাগার পরই ধেয়ে আসে এই অভিযোগের তির। বন্ধুদের অভিযোগ, এখন ডাকলে তোকে পাওয়া যায় না। আবার ঘরে ফিরলে স্ত্রী স্বামীকে আর স্বামী স্ত্রীকে একই অনুযোগ করে। কেন এমন হয়, ঘর–বাহির দুই দিকই সামলে নিতে কী করার আছে।


এ কথা তো সত্য, বিয়ের পর একটা মানুষের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে, না চাইলেও আসে। যদি না আসে, তাহলে বুঝতে হবে, আপনি কোনো এক পক্ষের প্রতি সুবিচার করছেন না। তাই বলে এক পক্ষের দিকে ঝুঁকে, অন্য সম্পর্কে চিড় ধরানো যাবে না। কারণ, প্রতিটি সম্পর্কই গড়ে ওঠে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিকঠাক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে। আপনার হয়তো কয়েকজন ভালো বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গে আপনি নিয়মিত সময় কাটান। বিকেলে অফিস থেকে ফিরে সোজা চলে যান বন্ধুদের আড্ডায়, সেখান থেকে বাসায় ফেরেন গভীর রাতে। কিন্তু বিয়ের পর সেই রুটিন স্বাভাবিকভাবেই এক থাকবে না। নতুন একটি সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর সেখানেও সময় দিতে হবে। তবে স্ত্রী বা স্বামীকে সময় দিতে গিয়ে যেন এমন না হয়, বন্ধুদের ফোনও ধরছেন না। এই সময়ে আপনার আন্তরিকতাই বন্ধু বা সঙ্গীকে আশ্বস্ত করতে পারে, কেউই আপনার জীবনে কম গুরুত্বপূর্ণ নন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজির আহমেদ বলেন, ‘ছেলেদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় বেশি দেখা যায়, হয়তো একজনের বিয়ের কথাবার্তা চলছে, তখনই বাকি বন্ধুরা মিলে তাকে টিজ করতে থাকে “বিয়ে করছ! আর তো পাওয়া যাবে না। ডুমুরের ফুল হয়ে উঠবে।” এমন টিজের কারণে অনেকে আরও বেশি সতর্ক থেকে বিয়ের পর এক দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে। আর এই ঝুঁকে পড়ার কারণেই অন্যদিকের সম্পর্কটা খারাপ হতে থাকে। তাই বিয়ের পর দুই দিকেই ভারসাম্য রেখে চলাটা খুব জরুরি।’


হানিমুন পর্বে বিশেষ সতর্কতা


আপনি বিয়ের পর যখন একটা নতুন মানুষের সঙ্গে জড়াচ্ছেন, তাকে অনেকটা সময় দেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে শুরুর দিকে (মধুচন্দ্রিমা পর্ব) সঙ্গীকে আপনার সময় দিতেই হবে। এতে সেই মানুষটিকে আপনি যেমন বুঝতে পারবেন, আপনাকেও তাঁর বোঝা সহজ হবে। আর এই সময়ে আপনি যে বন্ধুদের খুব বেশি সময় দিতে পারছেন না, সেটা তাদের বুঝিয়ে বলতে পারেন। দেখা করা সম্ভব না হলে ফোনে, ভিডিও কলে বন্ধুদের সঙ্গে সুন্দর সময়ের কিছুটা ভাগ করে নিতে পারেন। এতে আপনাকে হারিয়ে ফেলার ভয় বন্ধুদের ভেতর থেকে উবে যাবে। বরং বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনার সময় আপনার জীবনসঙ্গীর নানা বিষয় তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। একটা সময় পরে সঙ্গীকেও বন্ধুদের সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন। এতে সম্পর্কটা সহজ হবে। বন্ধুরা যে আপনার কাছে এখনো সমান গুরুত্বপূর্ণ, সেটা যেন তারা আপনার আচরণে বুঝতে পারেন। আর আপনার সঙ্গী (স্বামী বা স্ত্রী) এই সময়ে যাতে একাকিত্বে না ভোগেন, সেদিকে বিশেষ যত্নবান হতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও