১৯৭১: পানপট্টির সম্মুখ যুদ্ধে মুক্ত হয়েছিল পটুয়াখালী
দীর্ঘ আট মাস অবরুদ্ধ থাকার পর ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদারদের দখলমুক্ত হয় পটুয়াখালী জেলা। সেদিন সকালে মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশু পার্কে।
এ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরুল ইসলাম ধলা। তার কাছে যুদ্ধদিনের গল্প শুনেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
১৯৭১ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ; এদিন পাকিস্তানি বাহিনী প্রথমে দ্বিমুখী, পরে ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। যুদ্ধ চলাকালীন পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকার সহযোদ্ধা রবীন্দ্র নাথ হালদার খোকন গুলিতে আহত হন।
ধলা বলেন, “খোকন আহত হওয়ায় আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকার আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু আমরাও থেমে থাকিনি; যুদ্ধ চালিয়ে গেছি। প্রশিক্ষিত একটি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে ফেরার কোনো আশাই ছিল না। তবে গলাচিপা থানা কমান্ডার কে এম নুরুল হুদা ভাই (সাবেক সিইসি) ও ডেপুটি কমান্ডার হাবিবুর রহমান শওকত ভাইয়ের কৌশল ও সাহসিকতায় আমরা যুদ্ধে গতি পাই।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- অগ্নিঝরা মার্চ