রমজান দ্রব্যমূল্য সংযম

দেশ রূপান্তর জাকির হোসেন প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তিনি জানান, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এ লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সরকার। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এদিকে রোজার আগেই বেড়েছে খেজুর, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, মুরগির দাম। দাম বাড়তে পারে কাঁচামরিচ, লেবু, বেগুন, শসা, টমেটোর। এই পণ্যগুলো রোজার ইফতারির খাদ্য তালিকায় থাকে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্যোগ কতটুকু স্বস্তি দিতে পারবে সাধারণ মানুষদের তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে গত দুবছর ধরে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। অনেক সিন্ডিকেটেরও সন্ধান মিলেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে বলে সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে কার্যত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরেই রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৮৬ শতাংশ। যা আগের মাসের চেয়ে বেশি। যদিও আমাদের দেশের মানুষের মূল্যস্ফীতির সহ্যক্ষমতা ৬ শতাংশের ঘরে।


নতুন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে মূল্যস্ফীতিকে টার্গেট করেছে বর্তমান সরকার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অঙ্গীকার করেছে। এরই মধ্যে ভোট শেষে শপথ নিয়েছে নতুন সরকার। এ কারণে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা এই সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি কমাতে কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে ১০% এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় ভ্যাট হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। রমজানে খেজুরের চাহিদা বিবেচনায় খেজুর আমদানিতে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যকে ভিত্তি ধরে শুল্কায়ন করা এবং কাস্টমস শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক রহিত করতে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরোপণীয় আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনায় পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্কহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল আমদানিতে আরোপনীয় আমদানি শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫%-এর পরিবর্তে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে।


রোজায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার স্বার্থে ভারত সরকারের কাছে ১ লাখ টন চিনি এবং ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রমজান মাস উপলক্ষে নিম্ন আয়ের মানুষের নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীর ২৫টি স্পটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে সুলভমূল্যে দুধ, মাংস ও ডিম বিক্রির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমদানি সংশ্লিষ্ট শুল্ক  স্টেশনগুলো ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল ও খেজুর দ্রুত খালাসকরণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আরও অনেক বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা থেকে বোঝা যায়, সরকার এবার রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে বদ্ধপরিকর। তারপরও আশঙ্কা, ব্যবসায়ীরা এ সময় মুনাফাভোগী মনোবৃত্তি ছাড়তে পারবে কিনা? কারণ ইতিমধ্যে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও