নিরাপত্তাহীন রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২৪, ২০:২৪

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ও সাততলা থেকে বেশ কয়েকজন উদ্ধারের খবর স্বস্তি ও আশ্বস্ততা তৈরি করেছিল। সকালে ঘুম থেকে জেগে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ৪৩ জনের মৃত্যুর খবরে বিশাল একটা ধাক্কা খেলাম। মর্মান্তিক এই ট্র্যাজেডি একটা গা হিম করা অসহায়ত্বের অনুভূতি জাগাচ্ছে। উদ্ধার করা হয় আরও অর্ধশতাধিক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তিদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের অনেকের শ্বাসনালি পুড়েছে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক তার এক সহকর্মীর মেয়ের মৃত্যুর দিয়ে আর যেন মৃতের সংখ্যা না বাড়ে সেই প্রার্থনা করতে বলেন।


বেইলি রোডে যে ভবনটিতে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে সেখানে দুই তলা ও চার তলার দুটি রেস্টুরেন্টে বেশ কয়েকবার স্বজন ও বন্ধুদের নিয়ে খেতে গেছি। তাই এই ঘটনার পর বারবার মনে হচ্ছে, আমরাও তো হতে পারতাম এই নির্মম ট্র্যাজেডির বলি। এ দুটি তালাতেই একাধিক রেস্টুরেন্ট। কাচঘেরা ভবন। কোনার টেবিলগুলোতে বসলে রাস্তার দৃশ্য দেখা যায়। কে না জানে, আগুন লাগলে কাচের ভবন দ্রুত আগ্নেয়গিরি হয়ে ওঠে। বাতাস বের হতে না পারায় আগুন ও ধোয়া নিমেষেই উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কাচঘেরা একেকটা বহুতল ভবন যেন একেকটা মৃত্যুকূপ।


বেইলি রোডের রাস্তা প্রশস্ত। আগুন লাগার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারে। তারপরও কেন এত হতাহত? প্রাথমিক খবরে যা জানা যাচ্ছে, অগ্নিকাণ্ড ঘটলে অসংখ্য মানুষের হতাহত হওয়ার সব ‘ব্যবস্থা’ সেখানে করাই ছিল। একে তো কাচঘেরা ভবন তারপর সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। আগুন লাগার পর সিলিন্ডার  বিস্ফোরণ হওয়ায় উপরে ওঠার কিংবা বেরিয়ে যাওয়ার কোনো পথ ছিল না।


আমি বিশেষজ্ঞ নয়। কিন্তু ভবনটিতে কয়েকবার যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে মনে হয়েছে, সাততলা ভবনটির নিচতলা বাদে উপরের তলাগুলোর ভেতরের নকশা কোনোভাবেই বাণিজ্যিক কাজের উপযুক্ত নয়। বেইলি রোডে রেস্তোরাঁ ব্যবসা জমজমাট হয়ে ওঠায় ভবনটিকে রেস্তোরাঁর কাছেই ব্যবসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। হতে পারে রেস্তোরাঁর জন্য আলাদাভাবে নির্মিত নয় ভবনটি। বিষয়টি কি কখনো তদারকি করা হয়েছিল? সেখানে কি কখনো অগ্নি দুর্ঘটনার মহড়া হয়েছিল? আসলে ঢাকা শহরে বহুতল ভবনগুলোতে এমন মহড়া কয়টা হয়? ফলে এসবের অভাবে বা অবহেলায় একটি দুর্ঘটনা কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা আবারও আমরা দেখলাম বেইলি রোডে। এর আগে গত কয়েক বছরে আরও ঢাকা শহরের আরও কয়েক জায়গায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও