![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.ajkerpatrica.net/contents/cache/images/720x0x1/uploads/media/2024/02/25/2beabaed4a94be1a7bb4e988ab4aebb9-65dac1c0b2ae9.jpg)
রাজধানীর মহাখালীর রাস্তা যখন বাস টার্মিনাল
রাজধানী ঢাকার গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার আব্দুল মোমেন গত ৬ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে পরামর্শ চান। সেই ফেসবুক পোস্টের পর যেসব পরামর্শ এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল মহাখালী বাস টার্মিনালের বাইরে মূল সড়কের দুই ধারে রাখা আন্তজেলা বাস সরানোর বিষয়টি। এরপর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই সমস্যার সমাধান হয়নি।
গত সোমবার সকাল ৮টায় এবং মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সরেজমিন ঘুরে দুই রকমের চিত্র দেখা যায়। সকাল ৮টায় রাস্তার দুই লেনজুড়েই বাস রাখা ছিল। আর দুপুরে তা কমে গিয়ে এক সারি হয়। সেখানে রাখা বেশির ভাগ বাসই দূরপাল্লার।
রাস্তা এভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা হয়ে ওঠায় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত লম্বা সময়জুড়ে থাকে যানজট। রাতে নাবিস্কো থেকে মহাখালী ২ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লেগে যায় ৩০ মিনিটের বেশি।
মহাখালীর রাস্তায় সবচেয়ে বেশি বাস রাখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর মালিকানাধীন এনা পরিবহন। এর বাইরে একতা পরিবহন, ইমাম পরিবহন, শৌখিন এক্সপ্রেস, কাজী পরিবহন, আলম এশিয়া, আরাফ পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসের দখলে থাকে রাস্তা।
মালিক সমিতির দেওয়া তথ্যমতে, মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে দেশের ২০ রুটে প্রায় ১ হাজার ২০০ বাস চলাচল করে। অথচ বাস টার্মিনালে পায় ৩০০ বাস রাখা যায়। তাই ধারণক্ষমতা না থাকায় টার্মিনালের সামনে শহীদ তাজউদ্দীন সড়ক ও আশপাশের গলিতেও বাস রাখা হচ্ছে।