আবেগের নয়, বাংলা হোক প্রয়োগের ভাষা

ঢাকা পোষ্ট ড. চঞ্চল কুমার বোস প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের এত বছর পার হতে চলল। অনেক স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার এই রাষ্ট্রভাষা। এটি আমাদের মাতৃভাষাও। রাষ্ট্রভাষার জন্য প্রাণদানের ইতিহাস প্রায় নেই বললেই চলে। আমাদের পরে বাংলা ভাষার জন্য জীবন দেয় আসামের বরাক উপত্যকার বাঙালিরা। তা ১৯৬১ সাল। ১১ জন শহীদ হন সেই আন্দোলনে।


১৯৫২ সালে বাংলার ছেলেরা যে চরম আত্মত্যাগ করে, নিশ্চয়ই তার পেছনে আমাদের অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। নিজের ভাষা-ভূমি-সংস্কৃতি নিয়ে নিজেদের মতো একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের আকাঙ্ক্ষাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।


ভাষার লড়াই মানে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের লড়াই। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার করেও বাংলা ভাষার অবস্থান আজ কোথায় এই প্রশ্ন এখন আর বিস্ময় জাগায় না। আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে, সামাজিক জীবনে, পেশাগত জীবনে, আইন-আদালতে, আমাদের শিক্ষা ও জ্ঞানচর্চায় এবং জ্ঞানকাণ্ডের কোথাও বাংলা ভাষা নিজ মহিমায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে এমন কথা বলবার উপায় নেই। 


বাংলা ভাষা নিয়ে আমাদের আবেগ যত প্রবল, বাস্তবক্ষেত্রে বা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তার ছিটেফোঁটাও আছে বলে মনে হয় না। এদেশের তরুণ প্রজন্মের অনেক ছেলেমেয়েই জানে না ভাষা আন্দোলন কবে হয়েছে। সংস্কৃত ভাষা ভেঙে প্রাকৃতের যে উদ্ভব, সেই সূত্রেই আসে মাগধী প্রাকৃত।


মাগধীর গর্ভ থেকে বাংলা ভাষার আবির্ভাব, কিন্তু এই বাংলা কখনোই রাষ্ট্র বা রাজন্যের প্রশ্রয়-শুশ্রুষা বা স্নেহ পেয়েছে বলে আমরা দেখি না। বাংলার বাইরে থেকে আসা শাসকবর্গ তাদের নিজেদের ভাষা নিয়ে এসেছে। 


শাসনের ভাষা, ধর্মের ভাষা, অর্থনীতির ভাষা, আইন-আদালতের ভাষা সবসময়-যে এক থেকেছে এমনটি নয়। কিন্তু ইতিহাস বলছে বাংলা চিরকালই একটি প্রান্তিক ভাষা হিসেবে গণ্য হয়েছে। বাংলা ভাষার এই প্রান্তিকতা বর্তমানে তো কাটেইনি, বরং তা আরও বেশি হয়েছে। বাংলা ভাষা নিয়ে আমাদের সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মনে হয় না।


ইংরেজিকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়, বরং সেইটিই এখনকার বাস্তবতা কিন্তু তাই বলে বাংলা ভাষার উপযোগিতা বা ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো উদ্যোগ থাকবে না তা কেমন কথা? বিশিষ্ট ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাকে যতদিন জীবিকার ভাষা হিসেবে গ্রহণ না করা হবে ততদিন এর উপযোগিতা বাড়বে না।


আশির দশক থেকেই এদেশের নব্য উচ্চবিত্তরা ইংরেজিকে শিক্ষার প্রধান বাহন করে তুলতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু কেবল শিক্ষা না, সমাজের সর্বত্র ইংরেজির দাপট এত প্রবল যে, বিয়ে, জন্মদিন থেকে শুরু করে যেকোনো সামাজিক উপলক্ষে বাংলার পরিবর্তে ইংরেজিতে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়। এমনকি ভুল ইংরেজিতে আমন্ত্রণপত্র ছাপাবে তবু বাংলায় নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও