ইতিহাস ভুলে যাওয়ার ক্ষতি এই জাতিকে বহন করতে হবে

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ার সময় আমাদের খণ্ডকলীন শিক্ষক ছিলেন শাহেদ কামাল স্যার। উনি একজন সাংবাদিক ছিলেন। শাহেদ কামাল স্যার খণ্ডকালীন শিক্ষক হলেও ওনার চাপে আমাদের অবস্থা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। উনি বলতেন সব ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ করে সাংবাদিকতার স্টুডেন্ট হিসেবে দেশ-বিদেশ, প্রকৃতি-পরিবেশ, জীবন ও স্বাস্থ্য, জলবায়ু-আবহাওয়া ইত্যাদিসহ জগত সংসারের সব তথ্য অল্পবিস্তর জানা প্রয়োজন। স্যার পড়াতেন রিপোর্টিং কিন্তু পরীক্ষা নিতেন সাধারণ জ্ঞানের। প্রথম প্রথম স্যারের প্রশ্নগুলো আমাদের জানার আওতায় ছিল। যেমন বাংলাদেশের ইতিহাস, সরকার ব্যবস্থা, বিভিন্ন মহাদেশের বেসিক তথ্য, জলবায়ু ও রাজধানীর নাম ইত্যাদি।


ক্রমশ স্যারের মনে হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হিসেবে আমাদের সাধারণ জ্ঞান বেশ সীমিত। তাই উনি যখন তখন আমাদের সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা নেয়া শুরু করলেন। আমরা দলবেঁধে পত্র-পত্রিকা পড়া শুরু করলাম, যাতে কনটেম্পরারি কোনোকিছুই বাদ না যায়। এটা সত্যি যে ওই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আমাদের অনেককিছুই জানা হয়েছিল। এরপরেও কিছু প্রশ্ন এত অজানা অধ্যায়ের ছিল যে আমরা অনেকেই পাস নাম্বার পেতে ব্যর্থ হতাম। কিন্তু যে বেসিক তথ্যগুলো আমরা স্কুল-কলেজে শিখেছি, তা ঝালাই হয়েছিল এবং আমরা অনেক কিছু সম্পর্কে নতুনভাবে ধারণা পেয়েছিলাম। তখন কষ্ট হলেও কাজ করতে এসে আমাদের লাভই হয়েছে।


এত কথা বলার কারণ হচ্ছে সেদিন একটি ভিডিওতে কিছু তরুণ-তরুণীর কমেন্টস দেখে এতটাই হতাশ হলাম ও কষ্ট পেলাম, যাতে মনেহল আমাদের অর্জনের ষোল আনাই হয়তো মিছে হওয়ার পথে। জনকণ্ঠ এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে বইমেলার গেট থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে আধুনিক সজ্জায় সজ্জিত তরুণ-তরুণীদের কাছে মূলত তিনটি প্রশ্ন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হয়েছে, যেমন ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিজয় দিবস কী এবং কবে হয়েছিল?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও