কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলা ভাষা নিয়ে কিছু কথা

www.ajkerpatrika.com জাহীদ রেজা নূর প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

বাংলা ভাষার ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আলোচনা হয়, তাতে এই ভাষায় নিজেকে ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারছি কি পারছি না, সে আলোচনা হয় কম। আমরা অকারণেই প্রমিত-অপ্রমিত ভাষা নিয়ে বেশি বাক্যব্যয় করি। মূলত সেটা বাংলা ভাষার মূল সংকট নয়।


বাংলা ভাষা মুমূর্ষু হয়ে পড়েছে, হাসপাতালেই তার ভাগ্য নির্ধারিত হবে—এতটা ভয়ংকর কিছু ভাবার কারণ নেই। কিন্তু ভাষা বহন করছে যারা, তাদের ভাষা-শরীরে যে অসুখ এসে জুটেছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। শহুরে শিক্ষিত মানুষ তাদের মুখের ভাষা নিয়ে দ্বিধান্বিত। যে সাহিত্য সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে সত্যিই উঁচুদরের খুব বেশি কিছু হচ্ছে কি না, তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। কিন্তু দেশের খেটে খাওয়া মানুষ এখনো ইংরেজির নাগাল পায়নি বলেই তারা আরও অনেক দিন বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখবে বলে মনে হয়।


কেন একটা ভাষা মরে যায়, সে কথা কমবেশি সবাই জানে। কোনো ভাষার ওপর যখন অন্য ভাষার প্রভাব পড়ে, সেই অন্য ভাষায় কথা বলতে স্বচ্ছন্দ হয় মানুষ, তখন নিজের ভাষা ধীরে ধীরে দূরে চলে যায়। আমরা যে জীবনযাপন করছি, তাতে ভাষাকে নান্দনিক করে তোলার প্রয়োজন পড়ে না। যখন মানুষ সেই ভাষায় কিছু বলে, তখনই তো ‘কী বলব’, সেটা প্রধান হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন নিজেকে প্রকাশ করার জন্য ভিন্ন ভাষায় কথা বলা সহজ, তখন কেন নিজের ভাষার শব্দভান্ডার স্ফীত করার প্রক্রিয়ায় জড়াবে মানুষ? নিজের ভাষাকে সম্মান করলে সমাজে একটা স্থান হবে—এ রকম পরিবেশ কি আদৌ সৃষ্টি হয়েছে আমাদের দেশে?


দুই. একটা কেক এসেছিল বাড়িতে। কেকের ওপর লেখা, ‘আবার দেখা হবে’। কেকটা কাটার আগে একজন বললেন, ‘ফের মিলেঙ্গে’ এবং কারও কারও কাছে মনে হলো, ‘ফের মিলেঙ্গে’ কথাটা খুব যায় এই পরিবেশের সঙ্গে। তাহলে ‘আবার দেখা হবে’ কি তার উপযোগিতা হারিয়ে ফেলল?


এখন তো সবাই ‘মিস’ করে। কারও জন্য কারও মন হাহাকার করে ওঠে না। ‘মিস ইউ’ বললেই সব সমস্যা মিটে যায়। তাহলে কি ‘ফের মিলেঙ্গে’ কিংবা ‘মিস ইউ’ বললে ভাষা কলুষিত হয়ে যায়? একেবারেই না। মানুষ কথা বলে যোগাযোগের জন্য। ভাষা শুধু সেই যোগাযোগকে নিবিড় করে। যে যেই ভাষায় অভ্যস্ত, সে সেই ভাষাকেই যোগাযোগের মাধ্যম করে নেয়। এখানে শুধু একটা প্রশ্নই উঠে আসতে পারে—নিজের ভাষায় কেন নিজেকে প্রকাশ করা যাচ্ছে না?


এর একটা কারণ হতে পারে, ইদানীং বন্ধুবান্ধবদের আলোচনায় ব্যাখ্যামূলক কথা খুব কম থাকছে। দু-এক শব্দে উত্তর দেওয়া যায়, কিংবা উত্তর দিতে হলে ভাবার প্রয়োজন হয় না, যান্ত্রিকভাবে তৈরি থাকা উত্তরটাই উঠে আসে ঠোঁটের কিনারে, এমন হলে ভাষাকে আর বেড়ে উঠতে হয় না। যেটুকু বেড়ে উঠেছে, সেটুকুতেই থেমে থাকা যায়। কারণ, নিজেকে প্রকাশ করার ভাষা তখন অন্য কোনো ভাষা। নিজের ভাষা নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও