কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দেশে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছেই

www.ajkerpatrika.com প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২০

জিনিসপত্রের লাগামহীন দামে যখন বেশির ভাগ স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস চলছে, তখন ব্যাংকে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যখন টালমাটাল করে তুলেছে, তখনো একশ্রেণির মানুষ ফুলেফেঁপে কলাগাছ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ কোটিপতির হিসাব থেকেই এ চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। সংকটের মধ্যেও তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য বা সেবা থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামিয়েছেন। তথ্য-উপাত্ত বলছে, বর্তমানে ব্যাংকে কোটিপতি গ্রাহক ১ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০১৯ সালেও এ সংখ্যা ৮৪ হাজারের কম ছিল। গত পাঁচ বছরেই দেশে কোটিপতি বেড়েছে ৩০ হাজারের বেশি। আর পুরো ব্যাংক খাতের ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকার মধ্যে তাঁদের জমানো টাকাই ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এসব কোটিপতির বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ না করে, জমিয়ে রাখায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকেরা বলেন, মূলত আয়ের বড় ধরনের বৈষম্যের ফলে সাধারণ মানুষের আয় কমলেও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনার প্রথম আঘাত আসে ২০১৯ সালে। এ সময় দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। আর ২০২০ সালের মার্চে করোনার বছরে কোটিপতি হিসাব দাঁড়িয়েছে ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। আর ২০২১ সালে কোটিপতি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬টিতে। এর পরের বছর ইউক্রেনযুদ্ধে ডলার-সংকট দেখা দেয়। তবুও ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতির সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি।


এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে ব‌লেন, ‘অর্থনী‌তির নানা সংক‌টের কার‌ণে আমান‌তের প্রবৃ‌দ্ধি অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা কম রাখ‌ছে। অনেকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আমানত ভেঙে খাচ্ছে। কিন্তু কো‌টিপতির সংখ্যা সংকটেও বেড়েই চলছে। অপর দিকে সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪টি। এসব হিসাবে জমা ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি। এসব হিসাবে জমা আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের মধ্যে প্রায় ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ দখলে রেখেছেন কোটিপতিরা।


খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে নানা সংকট আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে পিষ্ট নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সাধারণ মানুষ সংসারের ব্যয় মেটাতে পারছেন না। ছোট ছোট অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারছে না। ব্যাংকে টাকা জমানো তো দূরের কথা, অনেকে জমানো সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেও একশ্রেণির মানুষের আয় বেড়েছে, যা সমাজে বৈষম্যের প্রতিফলন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও