তাহাদের ভালোবাসা, যেন কেবলই মরীচিকা
মানব সমাজে জন্ম নেওয়ার পর নিজের শরীরটাকে ঠিকঠাক বুঝে ওঠার আগেই মনের জমিন চিনে ফেলে শিশু। তারও মন খারাপ হয়, মন চায় অনেক কিছু।
এরপর আসে কৈশোরের মাতাল হাওয়া। মগজে জাগে প্রেমের রসায়ন। মন বলে ওঠে, তারও আছে ভালোবাসার, ভালোবাসা পাবার অধিকার।
তবে কেউ কেউ থাকে, যাদের সেই অধিকারটুকু চাইবার অধিকার সমাজ দেয়নি। ভালোবাসা তাদের জন্য শুধুই মরীচিকা।
তাদের একজন প্রিয়া খান। জীবনের ৩৯টি বসন্ত পার করে আসা প্রিয়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কেউ তার ভালোবাসার মূল্য দেয়নি। সমাজের নানা বেড়াজাল ও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃসঙ্গতাই তার জীবনের সঙ্গী।
প্রিয়া যখন ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে উঠলেন, বুঝতে পারলেন, ঠিক অন্যদের মত নন তিনি। তার চাওয়া-পাওয়াটা আলাদা। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় শারীরিক পরিবর্তনগুলোও বুঝতে শুরু করলেন। উপলব্ধি করতে শুরু করলেন, তিনি আসলে পুরুষ নন!
“যে বয়সে একটা ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করে, তখন একটা ছেলেকে আমার পছন্দ হয়ে গেল। আমি বুঝতে পারলাম, আমার ভেতরে অন্য কেউ বিরাজ করে।”