কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তাহের আবু সাইফ, আপনি বাংলাদেশের গর্ব

প্রথম আলো আলী রীয়াজ প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৭

তাহের আবু সাইফ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (এনএই) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এনএইর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া হচ্ছে, বৈশ্বিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কৃতীমান বিশিষ্ট গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ।


প্রতিবছর এ ধরনের স্বীকৃতি লাভের যোগ্যতা অর্জন করেন এক থেকে দেড় শ গবেষক, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে থাকেন ২০ থেকে ২৫ জন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে একে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি বলে বিবেচনা করা হয়।


বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে এযাবৎ তাহের আবু সাইফসহ এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনজন। ১৯৭৩ সালে স্থপতি ড. ফজলুর রহমান খান এবং ২০০১ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ড.ফজলে হুসেইন।


তাহের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়, আরবানা শ্যাম্পেনের মেকানিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক, ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন তিনি। তাঁর কাজের ক্ষেত্র হচ্ছে বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং। ন্যানো রোবটের একজন অন্যতম উদ্ভাবক তিনি।


এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন ক্যানসারের নিরাময়বিষয়ক গবেষণা নিয়ে। হঠাৎ মনে হতে পারে, যিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত নন, তিনি কী করে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন। এখানেই তাহের এবং তাঁর গবেষক দলের বৈশিষ্ট্য। তারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রযুক্তিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে কাজ করছেন।


২০১৪ সালে তিনি বলেছিলেন, ‘এমন একসময় হয়তো আসবে, যখন কোনো রোগীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে (যেমন ক্যানসার রোগীদের নির্দিষ্ট টিউমার অংশ) ওষুধ দিতে হলে সেটি রোবট দিয়ে করা সম্ভব হবে। এর ফলে ওষুধ নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়বে না।’


তাহের কী ধরনের কাজ করছেন, তার একটি ধারণা পাওয়া যায় ২০১৪ সালে পৃথিবীর বিখ্যাত বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার কমিউনিকেশন’-এ।


তিনি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন গবেষক দল আবিষ্কার করে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রোবট। এর নাম হচ্ছে ‘রোবোটিক বায়োলজিক্যাল সুইমার’ (বায়ো-বট সুইমার)। এটি যে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট রোবট, তা-ই নয়; এর কাজ হচ্ছে, রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে কিংবা ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর কোষে নির্দিষ্ট স্থানে ওষুধ দিতে পারা। তাঁরা যদি সফল হন, তাহলে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব হবে। নিরাময়ও সম্ভব হতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও