পোশাকশিল্পের স্বার্থে গ্যাস সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি

সমকাল আশিকুর রহমান তুহিন প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬

দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য পোশাকশিল্পের প্রধান জ্বালানি গ্যাস। সর্বশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য বলছে, প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানির ৫৯ শতাংশ পূরণ করে। এ থেকে সহজেই অনুমেয় জ্বালানির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর আমরা কতটা নির্ভরশীল। তবে এই নির্ভরতার বিপরীতে শিল্পে চলছে গ্যাসের তীব্র সংকট। সম্প্রতি এ সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে।


গ্যাসের অভাবে শিল্পঘন এলাকা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্পোৎপাদন ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নানা আপদের মধ্যে থাকা পোশাকশিল্পে গ্যাস সংকট যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। বিদেশি ব্র্যান্ড ক্রেতাদের ফরমায়েশমতো পোশাক উৎপাদন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের হাতে পৌঁছানোর শঙ্কায় উদ্যোক্তাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। ৮৫ শতাংশ রপ্তানি আয়ের জোগানদাতা তৈরি পোশাক খাত। অচিরেই সমস্যার সমাধান না হলে বিশেষত ডলার সংকটে ক্রমশ তলানিমুখী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও নাজুক অবস্থায় চলে যেতে বাধ্য।


কে না অবগত যে, অতিমারি করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি এক নজিরবিহীন সংকটের মুখে পতিত হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসবের প্রভাবে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এর জেরে ইউরোপ, আমেরিকার ধনী দেশগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানি ক্রয় করতে গিয়ে সেখানকার মানুষ পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে পোশাকের চাহিদা কমেছে। এরই প্রভাবে আমাদের প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমে আসছে। অন্যদিকে দেশে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি বাড়ায় তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ রয়েছে পোশাকশিল্পের সামনে। অর্থাৎ পোশাকশিল্প এখন চতুর্মুখী সংকটে।


এদিকে গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতি পোশাকশিল্পের সমস্যা আরও প্রকট করে তুলছে। গ্যাসের অভাবে অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আবার অনেক কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় পণ্য উৎপাদন করতে পারছে না। উৎপাদন চালিয়ে যেতে অনেক কারখানা বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ডিজেল ও সিএনজি কিনতে বাধ্য হচ্ছে। তাতে উৎপাদন ব্যয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। অধিকন্তু লিড টাইম বা স্বল্প সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ পোশাকশিল্পের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে ডিসকাউন্টসহ অর্ডার বাতিল হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কখনও আকাশপথে ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে হয়। এতে ব্যয় বাড়ে কয়েক গুণ। অর্থাৎ লোকসান দিয়েই চুক্তিমতো পণ্য পৌঁছাতে হয় তখন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও