মেরাজের প্রেক্ষাপট ও শিক্ষা

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২

বিশ্বনবি ও শ্রেষ্ঠনবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো মেরাজ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমায়, যিনি রাত্রিযোগে আপন বান্দাকে মসজিদুল হারাম (সম্মানিত মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দূরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, যার চারদিকে আমি বরকত মণ্ডিত করেছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ১)


এ আয়াতে বিশ্বনবির (সা.) রাত্রিকালীন সফর সম্পর্কে ব্যক্ত হয়েছে, যা অধিকাংশ তফসিরকারকের মতে মেরাজ বলে পরিচিত।
মেরাজের যে ঘটনা তা নবুওয়তের পঞ্চম বা ৬ষ্ঠ বছরে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে ঘটেছিল। এই সময় মহানবির যে মেরাজ সংঘঠিত হয়, তাতে তিনি বহু ঊর্ধ্ব-লোকে উপনীত হয়ে আল্লাহ জ্যোতিসমূহের বিকাশ প্রত্যক্ষ করেন। অপরদিকে মহান আল্লাহর জ্যোতিমালাও তার প্রিয় রাসুলের (সা.) দিকে অবতরণ করে। এভাবেই একদিকে আল্লাহর রাসুল (সা.) আল্লাহর দিকে অগ্রসর হন, অপর দিকে আল্লাহও অগ্রসর হন তার প্রিয় রাসুলের (সা.) দিকে। মানুষের পক্ষে যতটা আধ্যাত্মিক-উন্নতি অর্জন করা সম্ভব, তার সবটাই ঘটেছিলো রাসুলের (সা.) মাঝে।


মহান আল্লাহর শক্তি ও মহিমার জ্যোতি যতটা মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব, তার সবটাই দেখেছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় এই রাসুল (সা.)। এই মহামানবকে (সা.) যত বেশী করে আঁকড়ে ধরা যাবে, যতবেশী গভীরে যাওয়া যাবে তার শিক্ষার, ততই বেশী করে মুক্তির স্বাদ পাওয়া যাবে, পাপ থেকে ততই বেশী মুক্তি পাওয়া যাবে। পবিত্র কুরআনের সুরা নযমে উল্লিখিত মেরাজের ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কে যতই আমরা জ্ঞান অর্জন করব, ততই বুঝা সম্ভব হবে মেরাজের মাহাত্ম্য।


নবুওয়তের একাদশ বা দ্বাদশ বছরে মহানবির (সা.) প্রিয়তম পত্নী হজরত খদিজার (রা.) ইন্তেকালের পর কাবাগৃহের নিকটবর্তী তার চাচাত বোন উম্মে হানির বাসভবনে অবস্থানকালে একরাতে দিব্যদর্শনে তিনি জেরুযালেমে অবস্থিত ‘আল আকসা মসজিদ’ গমন করেন। সেখানেই তিনি পূর্ববর্তী নবীগণের সাক্ষাত লাভ করেন। এটি ইসরা নামে পরিচিত। পূর্ববর্তী জামানায় আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত নবীগণ আল আকসা মসজিদে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নবির (সা.) পেছনে নামাজ পড়েন। এরপর তিনি আবার মক্কায় ফিরে আসেন।
সুরা বনি ইসরাঈলে আল্লাহ এ ঘটনার বর্ণনা করেছেন। মেরাজ এবং ইসরা দু’টি ভিন্ন সময়ের ঘটনা। দু’টিই ভিন্ন সময়ের ভিন্ন ঘটনা অথচ লোকেরা অজ্ঞতার বশে দু’টি ঘটনাকে একত্রে বেঁধে দিয়ে প্রচার করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও