কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসন: বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের বিপরীত ঢেউ

প্রথম আলো আলী রীয়াজ প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২২

২০২৪ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বের ৬৪টি দেশে এ বছর নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৃথিবীর ৪৯ শতাংশ মানুষ তাঁদের জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোট দেবেন—এমনটাই কথা রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আগে একই বছরে এতগুলো দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনা ঘটেনি।


এ তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় বড় দেশ। ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় ভারতের নির্বাচনকে বিবেচনা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় নির্বাচন। আর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের ভৌগোলিক ব্যাপ্তি সবচেয়ে বড়। ২৭টি দেশে এই নির্বাচন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রভাব কেবল যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত থাকে না বলে সবার চোখ এ নির্বাচনের দিকেও।


সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী হবে—এ বিপুলসংখ্যক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তার একটি ধারণা পাওয়া যাবে বলে যেমন মনে করা হচ্ছে; একই সঙ্গে এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচিত হচ্ছে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্রের পশ্চাদ্‌যাত্রার বিষয়। ২০০০ সালের প্রথম দশকের মাঝামাঝি থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সামগ্রিক চিত্র হতাশাব্যঞ্জক। কেননা, এ সময়ে গণতন্ত্রের গুরুতর অবনতি দেখা গেছে।


স্যামুয়েল পি হান্টিংটন যাকে গণতন্ত্রের ‘তৃতীয় ঢেউ’ বলে বর্ণনা করেছেন, সেই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তারের প্রায় তিন যুগ পার হয়েছে। এরপর ‘তৃতীয় বিপরীত ঢেউ’ পুরো বিশ্বকে গ্রাস করে নিচ্ছে। আগের দুটি ঢেউয়ের ব্যাপ্তি ছিল ১৮৮২ থেকে ১৯২৬ এবং ১৯৪৫ থেকে ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তখনো সমানভাবে বিপরীত ঢেউ এসেছিল। সে সময় বিপরীত দিকে যাওয়া দেশগুলো গণতন্ত্র থেকে সরাসরি স্বৈরতন্ত্রের দিকেই চলে গিয়েছিল। এর মাঝামাঝি কোনো ধূসর এলাকা ছিল না।


গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রপঞ্চ দিয়ে গণতন্ত্রের তৃতীয় বিপরীত ঢেউকে চিহ্নিত করা যায়। এগুলো হচ্ছে ‘ভুয়া গণতন্ত্র’ ও ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্রের উত্থান’।


ভুয়া গণতন্ত্র কী


‘ভুয়া গণতন্ত্র’ হচ্ছে এমন ব্যবস্থা, যেখানে গণতন্ত্রের কিছু ছিটেফোঁটা থাকে। যেমন নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিরোধী দলগুলোর জন্য সীমিত পরিসর থাকে। কিন্তু শাসনব্যবস্থার মূল রূপটি হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। এই ভুয়া গণতন্ত্রকে হাইব্রিড রেজিম বা দোআঁশলা শাসনব্যবস্থাও বলা হয়।


দোআঁশলা শাসনব্যবস্থায় যাঁরা ক্ষমতায় থাকেন, তাঁরা সংবিধানকে তাঁদের সুবিধামতো ব্যবহার করেন। নির্বাচনে এমন কায়দায় কারচুপি হয় যে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের অংশ না হয়ে ক্ষমতাসীনদের আইনি বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার হয়ে ওঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও