কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রমজানের আগে বাজারে শৃঙ্খলা দেখতে পাব কি

বণিক বার্তা ড. আহমেদ আমিনুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়ের নাম অস্থির বাজার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি! নানাভাবে বিশেষায়িত করে নানাজন বাজারের সমালোচনায় ব্যস্ত! কোনো সমালোচনাই বাজারের গতি রোধ করতে পারছে না! সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও সাধারণের আলোচনার বিষয় ছিল দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি এবং বাজারের অস্থিরতা। সাধারণের মধ্যে এমন আক্ষেপোক্তিও শোনা গিয়েছিল যে গণতন্ত্রের চেয়েও বেশি জরুরি বাজার নিয়ন্ত্রণ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল করা। বিগত সরকারের আমলে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল অনেকেই উচ্চমূল্যের দ্রুতগতির অশ্বের গলায় লাগাম পরাতে সক্রিয় ও সচেষ্ট হওয়ার পরও বহুল কথিত ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে পারেননি। তাদের ব্যর্থ চোখে ধুলো ছিটিয়ে বাজারের কারবারিরা আরো মরিয়া হয়ে উঠেছেন! অনিয়ন্ত্রিত বাজার যেন দ্রুতগতির অশ্বকেও পেছনে ফেলে ছুটতে শুরু করেছে! তাই ভরা মৌসুমেও নিত্যপণ্যের বাজারে যেতে আমাদের মধ্যে এক ধরনের বিবমিষার সৃষ্টি হয়, সৃষ্টি হয় নাভিশ্বাস ও আতঙ্ক! বাজার সম্পর্কে সাধারণের মনে সৃষ্ট এরূপ নাভিশ্বাস দিন দিন বেড়েই চলছে!


বিশ্বব্যাপী সীমাহীন এক অস্থিরতার মধ্যে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েছে মাসখানেক হলো। এসব অস্থিরতার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইলের উত্তপ্ত পরিস্থিতিই অনেকটা প্রকট আকারে জনসমক্ষে প্রতীয়মান। আর প্রচ্ছন্নভাবে বহু দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ বিশ্বব্যাপী বাজার ব্যবস্থাকে প্রতিনিয়ত অস্থির ও চঞ্চল করে তুলছে। উপরন্তু ডলার সংকটও সামগ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক গতি সঞ্চার করছে। আমরা লক্ষ করছি, এসব কারণে অনেক দেশেই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন নির্বাহে ত্রাহি অবস্থাও সৃষ্টি করেছে। বর্তমান সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। এতে একদিকে আশায় বুক বাঁধলেও অন্যদিকে আবার ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অসাধু অভিপ্রায় এবং বহুল কথিত ‘সিন্ডিকেটে’র দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে আমাদের মনে সন্দেহও কম জাগ্রত হয় না! সব মিলিয়ে বাজারভীতি আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে আছে।


বর্তমান সরকার প্রায় এক মাস ধরে বাজার নিয়ন্ত্রণ বিশেষত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেসব তৎপরতা বা অভিযান বাজারকে প্রভাবিত করতে পারছে বলে এখনো অনুভূত হয়নি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে খাদ্যমন্ত্রী এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সর্বদাই তাদের নিজ নিজ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। কিন্তু মূল্য পরিস্থিতি ভোক্তার কাঙ্ক্ষিত নাগালের কাছে-মধ্যেই আসছে না! ভরা মৌসুমের মধ্যে একদিকে চালের ঊর্ধ্বমূল্য, অন্যদিকে শীতকালীন শাক-সবজির ভালো উৎপাদনের মধ্যে এসবের মূল্য সাধারণের ক্রয়-ক্ষমতাকে সদম্ভে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে! এ অবস্থার মধ্যে আসন্ন রমজান মাসের সম্ভাব্য সংকটের কথা চিন্তা করে সাধারণের মধ্যে দিশাহারা মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার ৫ শতাংশ রাজস্ব কর হ্রাস করেছে। এতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে সাময়িকভাবে আমরা কিছুটা স্বস্তি লাভ করেছি। কিন্তু আমাদের এ স্বস্তি শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের নানা ছলাকলা ও কারসাজির কারণে অস্বস্তিতে পরিণত হয় কিনা রমজান মাস এলেই তা পরিষ্কার বুঝতে পারব। আপাতত আশায় বাঁচি, আশা না থাকলে বাঁচা কঠিন! সাধারণ মানুষ নানাভাবে আশায় বুক বেঁধে এবং এক ধরনের চাপা অস্বস্তি নিয়ে টিকে আছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কথিত সিন্ডিকেট কর্তৃক দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত চক্রপ্রবাহের মধ্যে পড়ে সাধারণের স্বস্তিও দুর্লভ বস্তুতে পরিণত হয়েছে! ভরসা একটাই, এবার অন্তত সরকার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে যে উদ্বিগ্ন তা নিজেই স্পষ্ট করেছে। সম্প্রতি সড়কপথ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘বিএনপির আন্দোলন নয়, বরং বাজার নিয়ে চিন্তিত’ এমন বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতা স্বীকার করেছেন।


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বাজার শব্দটি নিয়েই বিরাট অস্বস্তি আমাদের। আসন্ন রমজান আমাদের সামনে বাজারকে তীব্র রকমের অস্বস্তিকর করে তুলবে বলে সবার আশঙ্কা। এরই মধ্যে ছোলা ও খেজুরজাতীয় খাদ্যপণ্যের ওপর রমজানের আবহ শুরু হয়ে গেছে! বিভিন্ন খাদ্যপণ্য আমদানির ওপর সরকার কর হ্রাস করলেও ডলারের মূল্যের অজুহাতে সেসব পণ্যের মূল্যহ্রাস তো দূরের কথা স্থিতিশীলই থাকছে না। বরং রমজানের সময় যেসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তার দাম আগেই সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে সাধারণের মধ্যে কেবল অস্বস্তি নয়, সীমাহীন আতঙ্কও ঘুরপাক খাচ্ছে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও