দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? ‘ওয়ান ইলেভেন’ সরকার ২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধনপ্রথা চালু করলেও সঠিক সংখ্যা বলা সহজ হয়নি। কারণ, সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও প্রাধিকার নিয়েও অনেক সমালোচনা রয়েছে। জনবহুল অনেক দল যেমন নিবন্ধন পায়নি, তেমনই অনেক জনবিরল দলও নিবন্ধন পেয়েছে। অবশ্য জাতীয় নির্বাচন এলে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা সম্পর্কে মোটাদাগের ধারণা পাওয়া যায়।
যেমন নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনপ্রাপ্ত ৪৪ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি অংশ নিয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নিবন্ধন না থাকলেও ১৪ দলীয় জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে আরও ৫টি দল। আর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে ৬৩টি দল নির্বাচন ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছে বলে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৯৭টির (২৯+৫+৬৩) ওপরে। তার মানে সংখ্যাটি কমবেশি ১০০।
এর মধ্যে কতটি ‘বড়’ আর কতটি ‘ছোট’ রাজনৈতিক দল? কোনো সর্বজনীন মানদণ্ড নেই। একটি মানদণ্ড হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব। স্বাধীনতার পর থেকে সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়েছে মাত্র চারটি রাজনৈতিক দল– আওয়ামী লীগ, বাকশাল, বিএনপি, জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীন জোটের ছোট শরিক হিসেবে মন্ত্রিত্ব গ্রহণকারী দলগুলোকে ধরলে এ তালিকায় যুক্ত হতে পারে আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দল– জামায়াতে ইসলামী, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জেপি ও সাম্যবাদী দল।
হিসাব করে দেখেছি, এই ৯ দলের বাইরে আরও ১৮টি রাজনৈতিক দল থেকে বিভিন্ন সংসদে অন্তত একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, একতা পার্টি, গণফ্রন্ট, ন্যাপ, মুসলিম লীগ, সিপিবি, ফ্রিডম পার্টি, এনডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিজেপি, এলডিপি, বিএনএফ, তরীকত ফেডারেশন, বিকল্প ধারা, গণফোরাম।