আমাকে পারলে মরণচাঁদের দই খাওয়াস...
আমার দেখা উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম ছবি ‘হারানো সুর’। প্রথম যখন পুরান ঢাকার একটি প্রেক্ষাগৃহে (নাম মনে আসছে না) গিয়ে ছবিটি দেখি, তখন আমার বালক বয়স। পঁয়ষট্টি সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কলকাতার ছবি প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগপর্যন্ত এ জুটির অনেক ছবিই আমি দেখেছি।
দুজনারই ভীষণ ভক্ত ছিলাম আমি। অনেক বছর পর যখন ভিডিও ক্যাসেটের যুগ (আশির দশক) আসে, তখন এ জুটির প্রায় সব ছবিই দেখে ফেলি। এ জুটির সর্বশেষ ছবিটি দেখি লন্ডনে, সেটি ছিল ‘সপ্তপদী’।
সেই বালক বয়স থেকেই মনে একটা ইচ্ছা—যদি একবার দুজনকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হতো। উত্তমকুমারকে দেখার সুযোগ না হলেও হয়েছে সুচিত্রাদর্শন। তা-ও একবার নয়, তিন-তিনবার—এমন এক সময়ে, যখন তিনি চলে গেছেন একেবারে আড়ালে। যত দিন বেঁচে ছিলেন, তত দিন তাঁর মেয়ে, দুই নাতনি ছাড়া আর কেউ তাঁর দেখা পাননি।
আমি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করি ১৯৭২ সাল থেকে। এরপর একটা সময় এল, যখন এ দেশে আমার অভিনীত অসংখ্য ছবিই ব্যবসাসফল এবং প্রশংসিত হয়েছে। সেই রকম একটি ছবি ‘সত্য মিথ্যা’ । পরিচালক এ জে মিন্টু। এ দেশে ছবিটি ব্যবসাসফল হওয়ায় ১৯৮৯ সালে কলকাতায় ছবিটির রিমেক করার চিন্তা করলেন ওখানকার প্রযোজক বিজয় খেমকা। চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য ওই সময় আমি কলকাতায় যাই। তখন হঠাৎ সুপ্ত ইচ্ছার কথা মনে পড়ল। কিন্তু যাঁকেই আমার ইচ্ছার কথা বলি, তিনিই বলেন, এটা অসম্ভব। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা।