কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

দ্বাদশ নির্বাচন: এক ঢিলে বহু পাখি শিকার

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০০

অনেক প্রতীক্ষার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবারের নির্বাচনকে যথেষ্ট ভালো বলতে হবে। মোটাদাগে নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়েছে। এবার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনার একটা গ্রহণযোগ্য ভালো নির্বাচনই উপহার দিয়েছে।


একশ্রেণির মানুষ এই নির্বাচনকে যতই ‘তামাশার নির্বাচন’, ‘প্রহসনের নির্বাচন’, ‘একতরফা নির্বাচন’ ইত্যাদি অভিধা দিক না কেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এই নির্বাচন অনিবার্য ছিল। যারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, সেটা তাদের নিজস্ব বিবেচনা।কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের অন্য কোনো পথ খোলা নেই।


হ্যাঁ, আওয়ামী লীগ হয়তো দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানোর ব্যাপারে খুব বেশি আন্তরিক ছিল না। কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল বিবেচনায় নিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বড় বেশি দোষ দেওয়া যায় না। কারণ, কোনো রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যই হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়া, ক্ষমতায় গিয়ে দলের নীতি-কর্মসূচি-আদর্শ ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা। বিএনপির দাবি মেনে যদি আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিত, তাহলে তাদের নিশ্চিত বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ চাইবে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করে ফেলার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় থাকার।


আওয়ামী লীগ সে কাজটিই করেছে। এতে বিএনপির সমর্থকেরা নাখোশ হতে পারেন, কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে এ জন্য খুব বেশি দোষারোপ করার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। কারণ রাজনীতি শেষ বিচারে কৌশলেরই খেলা। এই কৌশলের খেলায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সুযোগ থাকলে এই কৌশলই প্রয়োগ করত।


২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা ক্ষমতায় থাকার জন্য হেন কোনো কৌশল নেই যা প্রয়োগ করেনি। তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করতেও সচেষ্ট হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্র তারেক রহমান সবকিছু জেনেও এই নৃশংস ঘটনাকে আড়াল করতে চেয়েছেন। শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে গ্রেনেড বের হয়েছে বলেও তাঁরা মন্তব্য করেছেন। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েও তাঁরা সীমাহীন চালাকির খেলা খেলেছেন।


প্রথমে সংবিধান সংশোধন করে পছন্দের ব্যক্তি বিচারপতি কে এম হাসান যেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে পারেন, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো হয়। এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সোচ্চার হলে সব ধরনের নিয়মনীতি অগ্রাহ্য করে বিএনপি দলীয় রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বানিয়ে পুরো ব্যবস্থার বারোটা বাজাতে এককভাবে অবদান রেখেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও