ভর্তুকির বন্ডে সুদ ব্যয় সমন্বয় হবে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে
নগদ অর্থের সংকটে ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। বকেয়া হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর বিপুল অংকের বিল। সম্প্রতি ভর্তুকির অর্থের বিপরীতে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে দায় পরিশোধ কিছু সময়ের জন্য বিলম্বিত করা হয়েছে। এ বন্ডের সুদ ও পুঞ্জীভূত ভর্তুকির অর্থ পরিশোধে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে সরকার। চলতি শীত মৌসুমেই আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি এ বছরের মার্চের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সরকার। পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়েও এ সময়ের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে। খাতটিতে ভর্তুকির অংক দিন দিন বাড়ছে। এ ভর্তুকির চাপে বাড়ছে সরকারের অর্থ সংকটও। একদিকে ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করা যাচ্ছে না, অন্যদিকে বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বিদ্যুৎ খাতে ঋণ দেয়া ব্যাংকগুলো বিপাকে পড়েছে। এ অবস্থায় ভর্তুকির বিপরীতে বন্ড ইস্যু করে আপাতত সরকারের দায়ের বিষয়টি কিছু সময়ের জন্য বিলম্বিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বন্ডের সুদ বাবদ সরকারকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি পুঞ্জীভূত ভর্তুকির অর্থও পরিশোধ করতে হবে। সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছে না সরকার। এক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হতে পারে ৩০ শতাংশের মতো। তবে এটি একেবারে না বাড়িয়ে কয়েক ধাপে বাড়ানো হবে, যাতে গ্রাহকের ওপর চাপ কম পড়ে।