এই নির্বাচন সংকট নিরসন করবে কি

www.ajkerpatrika.com মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮

অনেক তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা ও সন্দেহ-সংশয়ের সাগর পাড়ি দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তরি তীরে ভিড়ছে আজ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনোরকম বিরতি ছাড়া টানা ভোট গ্রহণ চলবে। এবার সব কেন্দ্রেই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কাগজের ব্যালটে। ভোট গ্রহণকে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করার নিমিত্তে নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।


উপকূলীয় অঞ্চলে রয়েছে কোস্ট গার্ড বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত। এত সব প্রস্তুতি থেকে এটা অনুমান করা যায়, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে সারা দেশে যেসব সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে আজকের দিনটি কতটা শান্তিপূর্ণ থাকবে, তা নিয়ে অনেকেই উৎকণ্ঠিত।


এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায় ৭৩১ জনের প্রার্থিতা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ২৮৬ জন তাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ করাতে সক্ষম হন। প্রত্যাহার করেছেন ৩৪৭ জন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২৬৩ এবং জাতীয় পার্টির ২৮৩ জন ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। সমঝোতার বিনিময় হিসেবে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ২৬টি আসনে, আর ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়েছে ৬টি আসন। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও অভিনব ঘটনা হলো দল মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দেওয়া। ফলে ১৩০টি আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব আসনের বেশ কয়েকটিতে নৌকার প্রার্থীদের চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শক্তিশালী অবস্থানের খবর ইতিমধ্যেই জানা গেছে। গত ১৯ ডিসেম্বরের আজকের পত্রিকায় ৭ মন্ত্রী, ১০ প্রতিমন্ত্রী ও ১ উপমন্ত্রীর আসনে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্যদের অনেকেই ‘স্বতন্ত্র-ঝড়ের’ মুখে পড়েছেন; যাঁদের কারও কারও ভরাডুবির বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ কারণে কেউ কেউ মনে করছেন, দেশের সংসদীয় ইতিহাসে এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।


সাধারণত দল মনোনীত প্রার্থীদের বাইরে দলের কেউ প্রার্থী হলে কিংবা দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। এটা যেকোনো রাজনৈতিক দলের গঠনতান্ত্রিক বিধান। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রেও একই বিধান রয়েছে। কিন্তু সে বিধানের কোনোরকম পরিবর্তন ব্যতিরেকেই দলীয় প্রার্থীর বাইরে কেন স্বদলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ অবারিত করা হয়েছে, তা আর অপ্রকাশিত নেই। বিএনপির অনুপস্থিতিতে যাতে নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখানো যায়, তদ্দুশ্যেই এই অভিনব সিদ্ধান্ত। এতে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় ঐক্যে আপাত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলেও আখেরে তা তেমন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন না দলটির সমর্থকেরা। তাঁদের ভাষ্য, নৌকা কিংবা ‘দলীয় স্বতন্ত্র’ যিনিই জিতুন, তিনি তো বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত হাতিয়ার। সুতরাং নৌকা, ঈগল কিংবা ট্রাক, যেটাই জিতুক, সবার মঞ্জিলে মকসুদ তো আওয়ামী লীগই। তাই এটা দুশ্চিন্তার কোনো বিষয় নয়। তবে, অভিজ্ঞজনেরা আশঙ্কা করছেন, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে স্থায়ী অনৈক্যের সূত্রপাত ঘটতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও