কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনে প্রবীণ ইস্যু

www.ajkerpatrika.com হাসান আলী প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতি যে অঙ্গীকার ঘোষণা করে, সেটাই নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার প্রকারান্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত চুক্তিপত্র বা ওয়াদা। নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বা জোট জনগণকে প্রদত্ত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি পূরণে সচেষ্ট হয়। তবে ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের জবাবদিহির সংস্কৃতি এখনো দৃশ্যমান নয়। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়লে জবাবদিহির ক্ষেত্র প্রসারিত হতে পারে। নির্বাচনী ইশতেহার হলো জবাবদিহির একটি বড় ধরনের হাতিয়ার।


বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি প্রবীণের বসবাস। মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবীণ। ২০৫০ সালনাগাদ প্রবীণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ কোটি হবে, যা মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ। বিপুলসংখ্যক প্রবীণ জনগোষ্ঠীর কথা রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে ভাবছে, তা বুঝতে নির্বাচনী ইশতেহার হলো মূল দলিল। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো প্রবীণ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছিল।


আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারের প্রথম পর্যায়ে ‘আমাদের বিশেষ অঙ্গীকার’-এ ২১টি অঙ্গীকার ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী কল্যাণকে ২০ নম্বর অঙ্গীকারের মধ্যে রেখেছিল।


ইশতেহারে বলা হয়েছিল, প্রবীণদের জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম গ্রহণ, প্রবীণদের বিষয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাঠ্যবইয়ে অধ্যায় সংযোজন, যানবাহন এবং আবাসিক স্থাপনাগুলোতে প্রবীণদের জন্য আসন বা পরিসর নির্ধারণ, তৃণমূল পর্যায়ে প্রবীণদের জেরিয়েট্রিক স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ এবং হাসপাতাল, বিমানবন্দর, বিভিন্ন স্থাপনা ও যানবাহনে ওঠানামার ব্যবস্থা প্রবীণবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে।


সাফল্য ও অর্জন হিসেবে দেখানো হয়েছে, জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা-২০১৩, পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন-২০১৩, বয়স্ক ভাতার আওতায় এসেছেন ৪৪ লাখ প্রবীণ। আর সরকারের বিশেষ বিবেচনায় ছিল সমন্বিত পেনশন কার্যক্রম, জাতীয় সামাজিক বিমা কর্মসূচি ও বেসরকারি ভলান্টারি পেনশন।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনী ইশতেহারে ১৯টি অঙ্গীকার ঘোষণা করেছিল। ১৬ নম্বর অঙ্গীকারে আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল, দুস্থ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারী এবং অসহায় বয়স্ক ব্যক্তিদের ভাতার পরিমাণ মূল্যস্ফীতির নিরিখে বৃদ্ধি করা হবে। বেসরকারি ও স্বখাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্যের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি পেনশন ফান্ড গঠন করা হবে। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।


আওয়ামী লীগ ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে প্রায় ৬০ লাখ প্রবীণকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনতে পেরেছে। বয়স্ক ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। ৮৫টি শিশু পরিবারে ১০ জন করে প্রবীণদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় কয়েকটি প্রবীণ নিবাস গড়ে তোলা হয়েছে। তবে প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ পাস করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও