সমঝোতা: কার সঙ্গে এবং কেন?

বিডি নিউজ ২৪ মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৬

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে তৃতীয় পক্ষকে ক্ষমতায় আনার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন এগিয়ে চলা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জয়লাভের কোনো বিকল্প নেই।


অনেকে রাজনীতিতে ‘সমঝোতা’ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু সমঝোতা হবে কার সঙ্গে? সমঝোতার ভিত্তিই বা কী? যারা ঘুরেফিরে মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার প্রয়াস পায়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বিভিন্নভাবে জাস্টিফাই করে এখনও এবং এর দীর্ঘদিন পরে শেখ হাসিনাকেও যারা হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল, তাদের সঙ্গে সমঝোতা হবে কীভাবে? যারা প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, দেশে যারা প্রতিক্রিয়াশীলতার বিষবাষ্প ছড়াতে চায়—তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয় কীভাবে? যারা দেশের সংবিধানে বিশ্বাস করে না এবং অসাংবিধানিক শক্তির উত্থানে সহায়তা করতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে দেশ গড়া যায় কি?


এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা যে দেশ অর্জন করেছিলাম, তার পেছনে ছিল স্বাধিকার আদায়ে এদেশের মানুষের দীর্ঘ সংগ্রাম। আর এর অগ্রভাগে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন দেশ গড়ার সংগ্রামও তিনি শুরু করেন নানা প্রতিকূলতার মুখে দাঁড়িয়ে। স্বাধীনতার এত বছর পর পেছন ফিরে তাকালে দেখি, দেশটি কত আত্মত্যাগে অর্জিত এবং কত ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও একটি কঠিন অবস্থায় এনে ফেলা হয়েছিল। এর সামাজিক গড়ন নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা সফল হয়নি। অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা শুধু গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন করেছি তা নয়; অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথেও এগিয়ে যাচ্ছি। আর সে কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাকেও কম প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে না, পিতার মতোই। দেশে-বিদেশে প্রতিকূলতা তাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে ধৈর্য্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে।


রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পেয়ে শেখ হাসিনা চাইলে অনেক বেশি প্রতিশোধপরায়ণ হতে পারতেন পিতৃহত্যা এবং নিজেকেও হত্যার প্রচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি সে পথে না গিয়ে বরাবরই আস্থা রেখেছেন আইন ও আদালতের ওপর। যা কিছু হয়েছে, সেটা হয়েছে আদালতের মাধ্যমে। তিনি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন করেছেন। ২১ অগাস্ট তার ওপর পরিচালিত গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ও হয়ে আছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রমও চলমান। এসবের মধ্য দিয়ে জাতি বিভক্ত হচ্ছে বলে যারা বক্তৃতা করেন, তারা ভুল পথে আছেন। এর মধ্য দিয়ে জাতি আসলে একতাবদ্ধ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও লক্ষ্যের ভিত্তিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও