শ্রম আইন লঙ্ঘন: ইউনূসের ভাগ্যে কী, রায়ের অপেক্ষা
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার কর্মকর্তা বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন কি না, তা জানা যাবে দুপুরে।
গ্রামীণ টেলিকমের ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করা, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত দেবেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।
ইউনূসের আইনজীবী ব্যরিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারক আমাদের বলে দিয়েছেন, দুপুর ২টার দিকে রায় হবে। আমরা দুপুর ১টার দিকে আদালতে যাব।”
গত ২৪ ডিসেম্বর দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হয়াদার আলী যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “ডিফেন্সে ব্যাড কনডাক্ট হয়েছে। তারা সাফাই সাক্ষ্য দিয়ে বলতে পারতেন যুক্তিতর্কে যা বলেছেন সেগুলো। তাহলে তাদের কথাগুলো দলিল প্রদশর্নী হিসাবে রায়ে মূল্যায়িত হত। কিন্তু তা তারা করেননি।
“এমনকি তারা আত্মপক্ষ সমর্থন এ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারার জবানবন্দিতেও এই সব বিষয়ে মৌখিকভাবে তুলে ধরেননি। আসামিপক্ষ শুধু আমাদের রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তবব্যের বিরোধিতা করে যুক্তি দিয়েছেন যুক্তিতর্কের শুনানির সময়। আমরা আশা করছি, আমাদের পক্ষেই রায় আসবে। অভিযুক্তরা সাজা পাবেন।”
যুক্তিতর্কের শুনানিতে ইউনূসসহ চার আসামির সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা চান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তার মক্কেলরা এ মামলা থেকে খালাস পাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন।