থার্টি ফার্স্ট ও উন্মাদনা

বিডি নিউজ ২৪ চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৫৬

আমাদের জীবনে আপদের কোনো শেষ নেই। যানজট, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের খেয়োখেয়ি, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি, মশার বিষাক্ত কামড়, টকশোর বক্তাদের একঘেয়ে প্যাঁচাল, রাস্তায় ভিখারির বিরক্তিকর ঘ্যানঘ্যান, ঘরে বউ-বাচ্চার বাহুল্য প্যাঁচাল, জিনিসপত্রের লাগামছাড়া দাম ইত্যাদি সমস্যা ও সংকটে আমাদের জীবন অস্থির। এর মধ্যে ইংরেজি নববর্ষ আমাদের জীবনে এক নতুন আপদের নাম।


সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী একসময় বলেছিলেন, “নতুন বছর নিয়ে অত হৈ চৈ করার কিছু নেই, কোনো বছরই তো এক বছরের বেশি টেকেনি।” সেই কতবছর আগে এসব বলে গেছেন তিনি, আজকের যুগে দাঁড়িয়েও যে উক্তি ‘ভাইরাল’। এই নতুন বছর নিয়ে বিশ্ববাসীর হৈ চৈ-এর শেষ নেই। দিন দিন তা একদল বাঙালির মধ্যেও সংক্রমিত হচ্ছে। বাঙালি মাত্রই আবেগপ্রবণ, একথা কে না জানে? বাঙালির সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। নিজেদের নিয়ন্ত্রণের সীমাতে বাঁধতে পারার মুরোদ নেই। বরং আছে এক ধরনের বেপরোয়া জংলি উল্লাস!


বর্ষবরণের নামে আমাদের দেশে এখন রীতিমতো উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নগরবাসী সাড়ম্বরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায়, এই আনন্দ উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে থাকে। কতিপয় ব্যক্তি আনন্দের আতিশয্যে পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, দুর্ঘটনা ঘটিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়। ক্ষেত্রবিশেষে প্রকাশ্যে অভদ্রজনোচিত আপত্তিকর আচরণ করে থাকে। এসব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে।

এখন ইংরেজি নববর্ষ মানেই সাজ সাজ রব। শহর-নগরের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে মহা-উত্সবের সমারোহ। আলোর ফোয়ারা। রাতের ঘুম হারাম। নতুন বছরকে ঘিরে একশ্রেণির মানুষ কেন এমন ‘ক্ষ্যাপাটে’ হয়ে ওঠে, তার কারণ নির্ণয় করা দুষ্কর। এই উত্তেজনা ও উন্মাদনার কোনোই মানে নেই। মহাকালের নিয়মেই নতুন বছর আসবে, পুরোনো বছর বিদায় নেবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম কখনো কোথাও ঘটেনি, ঘটা সম্ভবও নয়। কালের নিয়মেই নতুন বছর আসে, পুরোনো বছর বিদায় নেয়। তাছাড়া পুরোনো বছর যেমন আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়ে যায় না; তেমনি নতুন বছরও আমাদের জন্য নিশ্চিত কোনো সৌভাগ্যের চাবি হাতে করে আসে না। আমরা আমাদের কর্ম, নেতানেত্রীদের আচরণের ফল ভোগ করি মাত্র। সেদিক থেকে বিচার করলে নতুন বছরের আগমন আর পুরোনো বছর চলে যাওয়ায় আমাদের কিছুই যায়-আসে না। পুরোনো বছরকে বিদায় জানানো আর নতুন বছরকে বরণ—উভয়ই তাত্পর্যহীন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও