নতুন শিক্ষা কারিকুলাম, বিতর্কের শেষ কোথায়?

www.ajkerpatrika.com মাসুদ উর রহমান প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১২

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পক্ষে-বিপক্ষে রীতিমতো ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিপক্ষেই বেশি হচ্ছে। পক্ষে যা হচ্ছে তা অবস্থাদৃষ্টে বিপক্ষ দলকে ডিফেন্ড করারই যেন ক্ষীণ প্রচেষ্টা। এ নিয়ে আগেও জাতীয় পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় লিখেছি।অনেকেই লিখেছেন, লিখছেন। আসলে এ দেশে লেখালেখিতে খুব একটা কাজ হয় না। কর্তার ইচ্ছাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়।


শিক্ষাপদ্ধতি নিয়ে কাটাছেঁড়া তো আর কম হয়নি, কিন্তু সাফল্য কই? মূলত তাড়াহুড়া আর বাস্তবতার নিরিখে বিচার-বিশ্লেষণ না করে অনেকটা কাচবেষ্টিত শীতল কক্ষের কাল্পনিক পরিকল্পনা হচ্ছে বলেই কি এমনটি হচ্ছে? ২০০১ সালে হঠাৎ করেই ঠিক মাধ্যমিক পরীক্ষার আগমুহূর্তে নম্বর পদ্ধতি বাদ দিয়ে গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। প্রথমবার সারা দেশে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।


এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে সেই এ প্লাস বাড়তে বাড়তে একসময় লাখ ছাড়িয়ে গেল। বর্তমানে এ প্লাসের সামাজিক মূল্যায়ন এমন পর্যায়ে যে অভিভাবকেরা এ প্লাস না বলে ফেবুতে পোস্ট দেন শুধু ‘আলহামদুলিল্লাহ’ কিংবা ‘কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে!’ রেজাল্টের এই সর্বোচ্চ মানদণ্ডের হাজার হাজার এ প্লাস পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন দূরে থাক, পাস নম্বরই পাচ্ছে না।


এরও আগে ১৯৯২ সালে চালু হয় পঞ্চাশ নম্বরের এমসিকিউ। পরীক্ষার দিন সকালে নির্দিষ্ট পাঁচ শ এমসিকিউয়ে চোখ বুলিয়ে গেলেই পাস মিলেছে। শুধু তা-ই না, কিছু না পড়ে এমনকি লিখিত পঞ্চাশ নম্বরে শূন্য পেয়ে এমসিকিউতে আন্দাজে গোল্লা ভরাট করে এসএসসিতে সে বছর পাস করেছিল প্রায় শতভাগ! টনক নড়ল দুই বছর পর, যখন পাসের হার এইচএসসিতে গিয়ে দাঁড়াল ১৮ শতাংশ!


গ্রেডিং সিস্টেমের লেটার গ্রেড দিয়ে যখন শিক্ষার্থীদের মেধা ঠিকভাবে যাচাই করা যাচ্ছিল না, তখন গ্রেডের পাশাপাশি আবার নম্বর ফেরত এল। যা এখন চলমান। প্রায় এক যুগ আগে শিক্ষকদের সৃজন করার ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করেই চালু হয়ে গেল সৃজনশীল পদ্ধতি।


কেউ কেউ সৃজনশীল হওয়ার জন্য পেলেন মাত্র তিন দিনের একটি প্রশিক্ষণ। বারো বছর পর যখন সৃজনশীল পদ্ধতি বন্ধ হওয়ার কথাবার্তা চলছে, তখনো কার্যকর প্রশিক্ষণের অভাবে শিক্ষকদের অনেকেই সৃজনশীল পদ্ধতি ঠিক কী তা বুঝতে অপারগই রয়ে গেছেন বোধ করি!


আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে মমতামাখা বুলিতে আমরা বলি মাতৃভূমি তথা মাদারল্যান্ড। সেই মাদারল্যান্ড হঠাৎই শিক্ষায় তুলনীয় হয়ে গেল ফিনল্যান্ডের! কথায় আছে না, কোথায় আসমানতলা আর কোথায় জমিনতলা! শুনতে খারাপ লাগলেও শ্রেণিকক্ষের বিচারে, শিক্ষকদের শিক্ষাদানের যোগ্যতা, সামাজিক মর্যাদা আর আর্থিক সুযোগ-সুবিধা এই তুলনার জন্য যথার্থ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও