শিক্ষা যেন আমাদের সমদর্শী হতে শেখায়

www.ajkerpatrika.com নিরুপমা রহমান প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:০৬

ড. নিরুপমা রহমান একজন শিক্ষাবিদ। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক।পাশাপাশি উচ্চতর ও বৈশ্বিক শিক্ষাপদ্ধতি উদ্ভাবন এবং এর প্রায়োগিক দিক নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। তাঁর লিখিত প্রবন্ধসংকলন ‘বাঙালির অন্তরমহল’ ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশের পরিবর্তনের ধারা, শিক্ষাব্যবস্থাসহ নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।


কয়েক বছর পর দেশে এলেন। দেশের পরিবর্তন কেমন দেখছেন?


নিরুপমা রহমান: দেশে আসতে সব সময়ই ভালো লাগে। এবার চার বছর পর দেশে এসে পরিবর্তনটা খুবই চোখে পড়ছে। এটা শুধু ভৌগোলিক দেশ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু আমার কাছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, দেশ তো মাটি দিয়ে তৈরি নয়, এটা তো মানুষের তৈরি। আপনজনেরা দেশে আছেন। এ দেশে জন্মেছি, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। সে জন্য দেশের প্রতি একটা টান তো আছেই। আর আমি আসলে মাটির টান বলতে মায়ের টানকেই বুঝি।এবার দেশের পরিবর্তনটা চোখে পড়ছে। নতুন নতুন অনেক রাস্তা হয়েছে। মেট্রোরেল হয়েছে। আর রাস্তাঘাটগুলো ঝকঝকে। এসব দেখে খুব ভালো লাগছে। কারণ নিজের দেশটাকে তো নিজের মায়ের ঘর মনে হয়।


আপনি যখন দেশে, তখন একটা নতুন বছর আসছে। বিগত বছর নিয়ে ভাবনা এবং নতুন বছরে প্রত্যাশা কী?


নিরুপমা রহমান: প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনের চাওয়া-পাওয়া তো ভিন্ন থাকে। কিন্তু সার্বিকভাবে বেশ অস্থিরতার মধ্য দিয়ে বিদায় নিচ্ছে ২০২৩। বৈশ্বিক যুদ্ধ, নানা ধরনের সহিংসতা চলেছে। তবে পৃথিবীতে কে না শান্তি চায়? যে শিশুটা পৃথিবীতে আসবে, সে যেন একটা শান্তিময় ও সুস্থ পরিবেশে আসতে পারে, সেটা তো সব সময়ের চাওয়া। তাই নতুন বছরের চাওয়া—পৃথিবীতে আবার শান্তি ফিরে আসুক।আমাদের সবার মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। খাদ্য, বাসস্থানের পাশাপাশি যেন সবাই শিক্ষার অধিকার পায়। সেই শিক্ষা যেন আমাদের সমদর্শী হতে শেখায়। সমানভাবে সবাইকে গ্রহণ করতে শেখায়। এ বিষয়টা আমাদের কাছে ভীষণভাবে জরুরি এ কারণে যে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদটা না দেখে আমরা যেন সবাইকে সমানভাবে দেখতে পারি। এতে আমাদের অর্জিত শিক্ষা পূর্ণতা পাবে এবং শান্তিও আসবে। তাই সমানভাবে দেখার যে দর্শন ‘সমদর্শিতা’, নতুন বছরে এটাই আমার চাওয়া।


স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে আমরা কতটুকু সমদর্শিতা দেখাতে পারছি?


নিরুপমা রহমান: আমার জন্ম আসলে পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে। বাংলাদেশের জন্য সেটা কঠিন সময় ছিল। ইতিহাস বিকৃতি ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পাশ কাটিয়ে সামরিক শাসনের কাল চলছিল। সেই সময়ের প্রজন্মটাই এখন অভিভাবক হয়েছেন। মা-বাবা হিসেবে আমাদের একটা বড় দায়িত্ব হচ্ছে, যদি আমরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না জেনে থাকি, তারপরও সেটাকে বুকে ধারণ করে আমাদের সন্তানদের তা জানানো দরকার।


আমি দীর্ঘদিন অভিবাসী। আমরা বাঙালিত্ব, নিজের দেশ এবং বাংলা ভাষাকে নিয়ে একধরনের দীনতায় ভুগে থাকি। যদিও ফেব্রুয়ারি মাস এলে আমাদের মধ্যে ভাষাপ্রেম জেগে ওঠে। মার্চ ও ডিসেম্বর এলে দেশের কথা বলি। কিন্তু এসব তো সারা বছর ধরে চর্চা করার বিষয়, তা নিয়ে আমরা কি ভাবি? আমরা যদি নিজ থেকে দেশের প্রতি ভালোবাসা, ভাষার প্রতি ভালোবাসা দিয়ে এবং সেসব ধারণ ও চর্চা করি, তাহলে আমাদের মধ্যে দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটবে। এটা করা খুব জরুরি বলে মনে করি। আর এসব বিষয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মধ্যে বয়ে নিয়ে যাওয়াটা খুব জরুরি। আমরা কি আমাদের সীমার মধ্য থেকে সেটুকু করতে পারছি? একই সঙ্গে জরুরি হলো, দেশেরই অংশ বিভিন্ন জাতিসত্তার ভাষা-সংস্কৃতিকে আমরা কি সম্মান করতে পারছি? খেয়াল রাখতে হবে, নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে সম্মান করতে পারলে, অন্যের ভাষা-সংস্কৃতিকে সম্মান করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও