কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নির্বাচনের পর অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ

জাগো নিউজ ২৪ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান আর কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। বিএনপি ও তার মিত্ররা মানুষের কাছে আহ্বান রাখছে নির্বাচন বর্জন করতে। তো সেটা নির্বাচনের দিনই বোঝা যাবে কতটা নির্বাচন মানুষ বর্জন করেছে। তবে সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন পরবর্তী সময়টিই। বিশেষ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বড় মাথাব্যথা হিসেবে থাকবে সামনের বছরটি।


আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও বিষয়টির কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, টাকা পাচার, ব্যাংকিং খাতের দুরাবস্থা, ডলার সংকট, সরকারের আয়-ব্যয়ের অসামঞ্জস্যতালএবং দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে বড় করে ভাবতে চাচ্ছে সরকার।


শীতকালে আলুর অস্বাভাবিক মূল্যই বলে দেয় বাজার কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অর্থনীতির সাধারণ সূত্র বলে, বাজারে কোনো পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকলে সেই পণ্যের দাম বাড়ে; একইভাবে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলে দাম কমে। কিন্তু ভরা মওসুমে আলুর দাম এখন চালের চাইতেও বেশি। এরকম একটি পণ্য যখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায় তখন প্রমাণ হয় যে সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি পুরো বাজার ব্যবস্থা। এ অবস্থা বহুদিন ধরে চলবে এবং সেটি যে নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য ভাবনা হয়ে থাকবে সেটা নিশ্চিত। তবে বিষয়টি ভাবনার যদি সরকার সত্যি সত্যি ভাবতে চায়।


২০২১ সাল থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণহীন এবং খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী যখন সংসদে দাঁড়িয়ে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তখন মানুষ আরও বুঝতে পারে যে পুরো ব্যবস্থা কাদের নিয়ন্ত্রণে। সেই বিবেচনায় সরকারের তরফ থেকে যখন বাজার নজরদারি জোরদার করার কথা বলা হয় তখন মানুষ আসলে কোনো আস্থা দেখেনা। নির্বাচনের পরে কি পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলাবে? জানতে চায় মানুষ।


অর্থনীতিকে সঙ্গীন অবস্থা থেকে বের করে আনাই নতুন বছের চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতি চালু রাখতে গেলে স্বাভাবিক করতে হবে ডলারের বাজার। ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়েও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার বহু ধরনের পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। তবে ব্যবসা মহলে কান পাতলেই শোনা যায় আর্তনাদ যে এলসি খুলতে পারছে না। পণ্য আমদানি, মূলধন ও কাঁচামাল আমদানি, সেবা খাত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত, বিদেশ ভ্রমণ ও চিকিৎসা খাত, বিদেশি ঋণ পরিশোধ, বিমান ভাড়াসহ বহু কারণে আরও নানা খাত ডলারের ওপর নির্ভরশীল। কেবল আমদানি খাতেই ব্যয় করতে হয় বছরে ৮৪ বিলিয়নেরও বেশি ডলার। এ বিপুল পরিমাণ ডলার ব্যয় করতে হলে দেশে ডলারের জোগান প্রয়োজন। সেটা নেই বহুদিন ধরে। ছোট ছোট ব্যবসা বলতে গেলে পথে বসেছে, বড়রাও ধুঁকছে। প্রবাসী আয় ও রপ্তানি আয় না বাড়লে সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও