দোষ কি প্রিন্স মামুন ও লায়লার, না আমাদের কপালের?

প্রথম আলো শেখ সাবিহা আলম প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৪

প্রিন্স মামুন ও লায়লা যা করছেন, তা-ই হিট। প্রিন্স মামুন কিশোরগঞ্জে যাচ্ছেন, লায়লাকে নিয়ে টঙে খাচ্ছেন, ফেরদৌস-পূর্ণিমা ও পল্লবী থানার ওসিকে পেছনে রেখে টিকটক করছেন, বাহারি গাড়িতে চড়ছেন, প্যারাগ্লাইডিং করছেন, মাদক সেবনের টিউটরিয়াল দিচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষ তাঁদের দেখছেন, লাইক-কমেন্ট-কনটেন্ট শেয়ার করছেন। এই দফায় প্রিন্স মামুনকে নিয়ে চর্চার কারণ তিনি তাঁর বন্ধু লায়লাকে ঘুষিয়েছেন। লায়লা কাঁদো কাঁদো গলায় সেই খবরের ভিডিও আপলোড করেছেন। পরে অবশ্য তাঁদের মিটমাট হয়ে যায়। এই জুটির ঘুষাঘুষি ও মিটমাট পর্বকে ঘিরে জাতি নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। দোষ কার? প্রিন্স মামুনের? লায়লার? আমাদের কপালের দোষ কি না, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।


প্রশ্ন বিভিন্ন ধরনের ও নানামুখী। তবে একটা বিষয়ে ঐকমত্য আছে, তা হলো প্রিন্স মামুন ও লায়লার মতো টিকটকারদের প্রায় অর্থহীন শর্টস ও রিল কিশোর-তরুণেরা গোগ্রাসে গিলছেন। শুধু গিলছেন বললেও ভুল হবে। টিকটকারদের ফলোয়াররা সময়-সময় ‘ডে আউট’ করছেন। আপনাদের একাধিক ঘটনা মনে থাকার কথা। টিকটক অপু ও তাঁর ফলোয়াররা খবর হয়েছিলেন মারপিট করে। আর রিফাদুল ইলাম ওরফে টিকটক হৃদয় (২৬) কিশোরীদের ভারতে পাচার করে। ভারতে একটি বীভৎস ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছিল। টিকটক হৃদয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের আকর্ষণীয় লোকেশনে নিয়ে গিয়ে জনপ্রিয় টিকটকার বানিয়ে দেবেন, এমন রঙিন স্বপ্ন দেখিয়ে পাচার করে দিচ্ছিলেন।


তাই বলে আয়মান সাদিকদের ফলোয়ারের সংখ্যা কিন্তু কম না। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বা বিরোধীদের ফলোয়ারও কম না। তার ওপর ‘সুপার অ্যাচিভার’রা আছেন। এই তরুণেরা নিয়মিত বিরতিতে দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, প্রশ্ন করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ তাঁরাই নাকি এগিয়ে নেবেন। আসল কথা হলো, বাংলাদেশের কিশোর-তরুণেরাও বিশ্বের অন্যান্য দেশের কিশোর-তরুণদের মতো রিলস বা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিওতে আসক্ত হয়ে উঠেছেন। এতে প্রিন্স মামুন, লায়লা বা আমাদের কপালের দোষ নেই।


যা নিয়ে আলোচনা জরুরি, তা হলো এসব শর্টস বা রিলের কোনো নেতিবাচক প্রভাব আমাদের বৃহত্তর জীবনে পড়ছে কি না। আমাদের নীতিনির্ধারকদের কিছু করার আছে কি না। কারণ, সব সময় এ ধরনের ভিডিওর প্রভাব ইতিবাচক না–ও হতে পারে। এমনকি কোথাও কোথাও রাষ্ট্র এগিয়ে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে গত বছর থেকে একরকম তোলপাড় চলছে। আমরা ওয়াশিংটন পোস্ট ‘হাউ টিকটক অ্যাট দ্য ইন্টারনেট’ নামের প্রতিবেদনটির কথা ভাবতে পারি। কিংবা কংগ্রেসের শুনানির প্রসঙ্গ টানতে পারি।


ক্লাউডফেয়ার, ডাটা এ আই এবং সেন্সর টাওয়ারের হিসাবে গত বছর গুগলের চেয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা টিকটকে ঢুঁ দিয়েছেন বেশি। সবচেয়ে দ্রুত ১০০ কোটি গ্রাহক পেয়েছে অ্যাপটি, যার ১০ কোটির বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে। প্রতিবেদনে অ্যাবি রিচার্ডস নামে এক গবেষকের উদ্ধৃতি আছে। তিনি বলছেন, এই প্ল্যাটফর্ম পৃথিবীতে কী ঘটছে তার সম্পর্কে গোটা প্রজন্মের ধারণা তৈরি করে দিচ্ছে। টিকটকের বিরুদ্ধে কিশোর-তরুণদের বিপথগামী করার অভিযোগে সিইও শোও চিউকে হাজির হতে হয়েছিল কংগ্রেসের সামনে। এই প্ল্যাটফর্মের কারণে কিশোর-তরুণেরা আত্মঘাতী হচ্ছেন, নিজেদের আঘাত করে বা তাঁদের খাওয়াদাওয়া অনিয়মিত হয়ে পড়েছে, এমন হাজারো অভিযোগ। টিকটক তাদের প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করে সমালোচনার মুখে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও