You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বাজারে কৃত্রিম সংকট প্রতিরোধে ইসলামি শিক্ষা

ইসলামি আইনশাস্ত্রবিদদের মতে, ইসলামি পরিভাষায় মজুতদারি হচ্ছে, খাদ্যশস্য মজুত করে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করা। অতঃপর মূল্যবৃদ্ধি পেলে তা বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হওয়া। ইসলাম মানবতাকে এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রদান করে যা সব বৈষম্য ও অসমতা দূরীভূত করে ইনসাফভিত্তিক এক অনন্য সমতার সমাজ কায়েমের পথ নির্দেশ করে। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সমাজের কোনো ব্যক্তির ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ণ করার এবং কারও স্বার্থ বিনষ্ট করার কোনো রূপ সুযোগ নেই।

এ অর্থনৈতিক মতাদর্শে পরিশ্রম করে সুখী সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ নিশ্চিত করে দেয়। ফলে মানবিক মূল্যবোধ সুদৃঢ় বুনিয়াদ লাভ করে। পারস্পরিক সম্পর্ক ও লেনদেনের মধ্যে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বজায় রাখার স্বার্থে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ইসলাম নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ব্যবসায়-বাণিজ্য।

ইসলাম ব্যবসায়-বাণিজ্য উৎসাহিত করতে যেমন বিভিন্ন রকম জাগতিক ও পারলৌকিক প্রাপ্তির ঘোষণা দিয়েছে তদ্রুপ বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্যকর ও অবাঞ্ছনীয় পদক্ষেপ প্রতিরোধে জাগতিক এবং পারলৌকিক শাস্তিও ঘোষণা করেছে। পণ্যসামগ্রী জমা রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সমাজের দুর্ভোগ বৃদ্ধি ও অতি মুনাফা অর্জন করাকে দণ্ডণীয় কাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করছি যে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মানুষের ক্রয়সীমার ঊর্ধ্বে। অধিক মুনফালোভীরা তাদের গুদামে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু খাদ্যদ্রব্য অবৈধ, অনৈতিকভাবে মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। আগেও আমরা দেখেছি বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করার পর গুদাম থেকে বস্তায় বস্তায় পচা পেঁয়াজ নদীতে ফেলার চিত্রও মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। যদিও এদের সংখ্যা কম কিন্তু বাজার ব্যবস্থা এই কম সংখ্যক লোকই নিয়ন্ত্রণ করছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসা-বাণিজ্য অন্যতম সম্মানজনক কাজ এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যকে ইসলাম সব সময় উৎসাহিত করে। কিন্তু খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জনের মানসিকতাকে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দুনিয়া ও আখিরাতে মজুতদারির ভয়াবহ শাস্তির কথা কোরআনে বর্ণনা করা হয়েছে।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা সোনা রুপা (ধন-সম্পদ) জমা করে এবং আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না তাদের জন্য আপনি যন্ত্রণাদায়ক আজাবের সংবাদ দিন। সেদিন এসব ধন-সম্পদ আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তা দিয়ে তাদের কপাল, পাঁজর আর পিঠে দাগ দেওয়া হবে। (বলা হবে), তোমরা যা কিছু নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে এগুলো তো সেসব ধন-সম্পদ। সুতরাং তোমরা যা কিছু জমা করে রেখেছিলে, এখন তার স্বাদ আস্বাদন করো’ (সুরা আত তাওবা: ৩৪-৩৫)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন