প্রচারের শুরুতেই ৮ জায়গায় স্বতন্ত্র–নৌকা সমর্থকদের সংঘাত
বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ভোটার টানতে অবাধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রতীক পাওয়ার পর প্রচারণার শুরুতেই আওয়ামী লীগের মনোনীত ও দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-উত্তেজনা শুরু হয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত আটটি আসনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের দায়ী করেছেন।
এ ছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারের দ্বিতীয় দিন গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এ সময় শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর অনুসারীরা মিছিলে অংশ নেন। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। চট্টগ্রাম নগরের পাঠানটুলি ওয়ার্ডে ব্যস্ততম সড়কে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ। সেখানে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
ভোটের আরও দুই সপ্তাহের বেশি সময় বাকি আছে। প্রচারের শেষ পর্যায়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।
গতকাল যশোর, জয়পুরহাট, পাবনা, জামালপুর, কুষ্টিয়া, নাটোর, টাঙ্গাইল ও ঢাকার সাভারে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা হামলা-সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।