খেজুরের রস থেকে নিপাহ ভাইরাস, মৃত্যুর হার কত জানেন?

ঢাকা পোষ্ট আনোয়ার খসরু পারভেজ প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিকভাবে যেসব প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধিকে অগ্রাধিকার দেয়, নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ সেইসব রোগের একটি। পরবর্তী মহামারি হতে পারে নিপাহ ভাইরাস। নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের ধরন কিছুটা করোনাভাইরাসের মতো। তবে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার কোভিডের সংক্রমণে মৃত্যুর হারের তুলনায় অনেকটাই বেশি!


নিপাহ ভাইরাসের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ৪০-৭১ শতাংশ। অন্যদিকে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার নিপাহর তুলনায় অনেকটাই কম মাত্র ২-৩ শতাংশ।


বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকতে ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩-এ জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে তা বিক্রি না করতে গাছি (খেজুরের রস সংগ্রহকারী) বা বিক্রেতাদের প্রতিও অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


মালয়েশিয়ার ছোট্ট একটা গ্রাম ‘সুঙ্গাই নিপাহ’। ১৯৯৯ সালে সেই দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস ছিল নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত অসুস্থ শূকর। ড. কো বিং চুয়া ১৯৯৯ সালে শূকরের শরীরে প্রথমবারের মতো নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করেন।


রোগটি যেন মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেই সময় লাখ লাখ শূকর মেরে ফেলা হয়। কারণ, আক্রান্ত শূকর থেকে ভাইরাসটি বাড়ির পোষা কুকুর-বিড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহেও ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় ২৬৫ জন মানুষের মধ্যে এনসেফালাইটিস দেখা দেয়, যার মধ্যে মারা যান ১০৫ জন মানুষ।


আক্রান্ত এক রোগীর মস্তিষ্ক থেকে একটি নভেল প্যারামিক্সো ভাইরাস আলাদা করা হয়। লোকটির গ্রামের নামেই ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয় নিপাহ ভাইরাস। ভাইরাসটি ফলভূক বাদুড়ের মধ্যেও শনাক্ত করা হয়েছিল। তা থেকে ধারণা করা হলো, বাদুড় থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।


বাংলাদেশের মেহেরপুরে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে ২০০১ সালে নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত হয়। বাংলাদেশে ২০০১ সালের পর প্রতিবছরই শীতকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ২২ বছরে ৩৩টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে ৫৭টিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও