কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে, শহীদ রাজু গুমরে বলে!

বিডি নিউজ ২৪ রাজু ভাস্কর্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৩

নির্বাচনী ডামাডোল চলছে। দিকে দিকে গরম হাওয়া— ভোট, ক্ষমতার ভাগ, আসন ভাগাভাগি, আসন সমঝোতা কিংবা অবরোধ-হরতাল। প্রতিদিনই কোনো না কোনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মাঝে এক বিকেলে রিকশায় ফিরছিলাম। রিকশাওয়ালা খুবই আগ্রহ নিয়ে ভোটের আলাপ করলেন। তার ভাষ্য, “এরা তো নির্বাচন করব, এই নির্বাচন তো তারা কারও কথায় বন্ধ করব না। যারা ভোট দিবার চায় দিব, আর যারা দিবার চায় না, তারা দিব না। এতে তাগোর কিচ্ছু যায়-আসে না।” কথা খুবই স্পষ্ট এবং সরল।


গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দেখছি আরও গরম। ছাত্র ইউনিয়নের কয়েকজন নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের ব্যানারে তারা মিছিল করে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ করার সময়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ওই ভিডিও ঘুরপাক খাচ্ছে। এটা ছিল ঘটনার একটি দিক। অন্যদিকে এই ঘটনার পর সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্যকে কালো কাপড়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।


শুধু তাই নয়, ছাত্র ইউনিয়নকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে একটি ব্যানারে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক ছয়টি সংগঠন ঠিক একই সুরে ছাত্র ইউনিয়নের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে। এর মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক হুমকি দিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে বড় কিছু ঘটতে পারে। এই হুমকির পরদিনই ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাদের পুনরায় পেটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা।


ছাত্রলীগের বক্তব্যও এক্ষেত্রে শোনা জরুরি। তাদের বক্তব্য হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা। এ ধরনের ঘটনার জন্য তারা ছাত্র ইউনিয়নকে সুস্পষ্টভাবে দায়ী করেছে। আমি ছাত্র ইউনিয়নের একজন প্রাক্তন হিসেবে অবশ্যই মনে করি না যে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের কারও ছবি, পোস্টার কিংবা মঞ্চ ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে কিংবা ঘটানো উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টি কি ছিল তা আমাদের একবার সহজভাবে দেখার চেষ্টা করাটা জরুরি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সড়ক দ্বীপের পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু স্মারক ভাস্কর্য। কে এই রাজু? পুরো নাম মঈন হোসেন রাজু। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আত্মত্যাগকারী এক বীর সেনানী, যিনি ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল করতে গিয়ে এই টিএসসি সড়ক দ্বীপের পাশে ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন তিনি। তারই স্মৃতি ও চেতনার ওপর সন্ত্রাসবিরোধী স্মারক হিসেবে এই ভাস্কর্য বুক ও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে।


যে রাজু ভাস্কর্য আজ আর দলীয় গণ্ডিতে নয় বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় সকল আন্দোলন ও লড়াই-সংগ্রামের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, তাকে কেন ঢেকে দিতে হবে?


মেট্রোরেলের স্টেশন উদ্বোধনসহ উন্নয়নের প্রচার কিংবা বিজ্ঞাপনের জন্য এই স্মারক ভাস্কর্যকে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন বিভিন্ন সময়ে যেভাবে ঢেকে রেখেছিল তা কি কারও নজরে পড়েছে? আমাদের চেতনার একটি জায়গায় থাকা একটি একটি স্মারক ভাস্কর্যকে তারা কোন যুক্তিতে, কোন বিচারে কিংবা কোন স্পর্ধায় বিজ্ঞাপনে ঢেকে দেবার সাহস পায়?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও