
মইনুল হোসেনের মৃত্যু: সম্মান জানিয়ে বিরতির পর বসবেন না আপিল বিভাগ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ রোববার বিরতির পর বসবেন না আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ সিদ্ধান্ত জানান। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে মইনুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি আজ সকালে উপস্থাপন করেন সমিতির সাবেক সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, সমিতির সাবেক সভাপতির মৃত্যুতে এর আগে এ প্রতিষ্ঠান সম্মান দেখিয়েছে। সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল মতিন খসরুসহ সাবেক সভাপতিদের মৃত্যুতে এ প্রতিষ্ঠান সম্মান দেখিয়েছে। সাবেক সভাপতি মইনুল হোসেন মারা গেছেন, যদি সুযোগ হয় সম্মান দেখাবেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপিল বিভাগ ১১টার পর বসবেন না। হাইকোর্ট বিভাগের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেব।’ দ্বিতীয়ার্ধে চেম্বার আদালতও বসবেন না বলে বেলা ১১টার দিকে জানান প্রধান বিচারপতি।
সকাল ৯টা থেকে আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে মাঝে বেলা ১১টা থেকে আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে। অন্যদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে মারা যান। প্রখ্যাত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বড় ছেলে মইনুল হোসেনের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ১৯৬৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর তিনি ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৩ সালে ইত্তেফাকের সম্পাদক পদ ছেড়ে দিয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন। একই বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুরের (তৎকালীন বরিশাল) ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া নিয়ে গঠিত নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অবশ্য ১৯৭৫ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। তিনি নিউ নেশন নামে সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেছিলেন, যা পরে দৈনিক হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন মইনুল হোসেন।